ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লেটস টক ‘লিভিং উইথ প্যাথোজেন: বিহেভিওর অ্যান্ড কমিউনিকেশন’

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ২৩ জুন ২০২০

লেটস টক ‘লিভিং উইথ প্যাথোজেন: বিহেভিওর অ্যান্ড কমিউনিকেশন’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্টি হওয়া এই মহামারী আমাদের যে শুধু আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তা নয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সীমিত পরিসরে হলেও এই মহামারীর সবচাইতে খারাপ প্রভাবটি পড়ছে আমাদের মননে অর্থাৎ মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বদলে যাচ্ছে মানুষের যোগাযোগ পদ্ধতি। ইয়াং বাংলার নিয়মিত আয়োজন লেটস টক-এ রবিবার যোগাযোগ ও আচরণগত পরিবর্তন নিয়ে ছিলো এইবারের আয়োজন যার শিরোনাম 'লিভিং উইথ প্যাথোজেন: বিহেভিওর অ্যান্ড কমিউনিকেশন'। ইয়াং বাংলার আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাকের সঞ্চালনায় আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি। করোনার কারণে মানুষের মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে যা রুখে দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্যানেলের আলোচকবৃন্দ। কিন্তু এই পরিবর্তনকে কতটা ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করা যায় সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে মানুষ এই 'নিউ নরমাল'-এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন প্যানালিস্টরা। সেই সঙ্গে এই মহামারী মোকাবেলায় সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রম নিয়েও কথা বলা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ও লাইন ডাইরেক্টর (সিডিসি) অধ্যাপক ডা. শাহনীলা ফেরদৌসী জানান, স্বাস্থ্য খাত আরো অন্যান্য বিভাগের সহায়তা নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে এই মহামারী পরিস্থিতি সামলে দিতে। কিন্তু সবচাইতে জরুরি বিষয় হলো সচেতনতা। তিনি জানান, এই সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে সবচাইতে কার্যক্রম ভূমিকা রাখতে পারে তরুণরা। আরটিভির সিইও আশিক রহমান জানান, এ সময় তরুণদের কাছে বার্তা পাঠাতে সবচাইতে ভালো কাজ করতে পারে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটলজি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, আমরা মৃতদেহকে ভয় পাচ্ছি। কিন্তু জীবিত মানুষকে ভয় পাচ্ছি না। অথচ মৃত মানুষের শরীরে মাত্র ৩ ঘণ্টার বেশি ভাইরাসটা থাকে না। অথচ একজন জীবিত মানুষের কাছ থেকে অনেকে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন। আমাদের একটা জিনিস বুঝতে হবে যে, কোভিড আসবেই। আমরা এই প্যানেলে যারা আছি তাদের মধ্যে কেউ যদি আক্রান্ত না হই তাহলে সেটা দুর্দান্ত ভাগ্য ছাড়া আর কিছু বলা যাবে না। কারণ সারা বিশ্বে যেভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে, তা থেকে রক্ষা পাওয়া সত্যিই কঠিন। আর করোনা থেকে বাঁচার এই বিষয়টা অনেকটা রাস্তায় গাড়ি চালাবার মত। শুধু আমি বা আপনি ভালো চালালে হবে না, সবাইকে ভালো ভাবে গাড়ি চালাতে হবে। না হলে দুর্ঘটনা ঘটবেই। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রাজিব নন্দী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক উম্মে কায়সার, ইউএনডিপি বাংলাদেশের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাইয়ুম এবং জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ঝুমনা মল্লিক।
×