ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বোয়ালমারীতে তিন এলাকা রেড জোন ঘোষণা

প্রকাশিত: ২২:১৯, ২১ জুন ২০২০

বোয়ালমারীতে তিন এলাকা রেড জোন ঘোষণা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় দেশের বিভিন্ন জেলার অনেক অঞ্চল বা এলাকা রেড জোনের আওতায় পড়েছে। যার মধ্যে- ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে শনিবার থেকে উপজেলার তিন এলাকাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে লক্ষ্মীপুরে রেড জোন হিসেবে ৫টি উপজেলায় ৫ম দিনের লকডাউন চলছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। ফরিদপুর ॥ ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে শনিবার থেকে উপজেলার তিন এলাকাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদের পর থেকে এই উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৩ জনে। এর মধ্যে পৌরসভার মধ্যেই ৫৭ জন। পৌরসভার বাজার সদরের দোকানপাট খোলা থাকায় ঈদের পর থেকেই চরম ভিড়। এ কারণে এলাকার সচেতন মহল থেকে কয়েকদিন ধরে লকডাউনের দাবি উঠছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে ব্যাপক স্ট্যাটাস দেয়া হচ্ছিল। অবশেষে উপজেলা প্রশাসন বোয়ালমারী পৌরসভার ৩ এলাকা- বাজার সদর, ছোলনা এবং বড় কামারগ্রামকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খালেদুর রহমান বলেন, লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৩, সুস্থ হয়েছে ৪৬, মৃত্যু হয়েছে ২জনের। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌরসভার তিন এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে শনিবার থেকে। লক্ষ্মীপুর ॥ লক্ষ্মীপুরে কোভিড-১৯’র সংক্রমণ ঠেকাতে রেড জোন হিসেবে ৫টি উপজেলায় শনিবার ৫ম দিনের মতো লকডাউন চলছে। এর মাঝে গত ২৪ ঘণ্টায় সদর উপজেলার খাগুড়িয়া গ্রামে ওয়ালি উল্যাহ (৭৫) বৃদ্ধ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তির পরিবারসহ আশপাশের লোকজনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ১২জন। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছে মোট ৫৪জন। এর মধ্যে মৃত সকলের নমুনা পরীক্ষায় মৃত্যুর পর ১১ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। অপরজন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর মারা যায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রায়পুরে স্বাস্থ্য বিভাগের একজন পিয়নসহ ১৫জনের শরীরে নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬৪ জনে দাঁড়াল। সিভিল সার্জন আব্দুল গফ্ফার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান কামাল কোভিড-৯ আক্রান্ত হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে মেডিক্যাল সূত্রে জানা গেছে। পরিবারের মধ্যে তার ছেলেরও কোভিড-১৯ পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। অপরদিকে রায়পুর নিবাসী বিশিষ্ট শিল্পপতি ঢাকার ম্যাকসন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয়বারের মতো কোভিড-১৯ নেগেটিভ রিপোর্টে এসেছে। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। এদিন দুপুরে পরিবারের পক্ষ থেকে এমনটিই জানানো হয়েছে। অপরদিকে ৫ম দিনের লকডাউনের ফলে জেলার পাঁচটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের সকল কাঁচাবাজার, দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সরকারী-বেসরকারী দফতর, অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরের বিভিন্ন সড়কে বাঁশ বেঁধে মানুষ এবং যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এর মাঝে অনেকে মানলেও কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। এ ব্যাপারে পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
×