ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাদাগাদি করে চলছে মানুষ ॥ সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা

গণপরিবহন কতটা নিরাপদ?

প্রকাশিত: ২২:৫৮, ৪ জুন ২০২০

গণপরিবহন কতটা নিরাপদ?

রাজন ভট্টাচার্য ॥ দলে দলে মানুষ রাস্তায়। যে যার মতো হাঁটছেন। চলছে গল্প আড্ডা। চা খাওয়ার পর্ব। কেউ মাস্ক ছাড়াই গা ঘেঁষে হনহন করে ছুটছেন। চলছে বাজার সদাই সবই। প্রয়োজনে হুড়োহুড়ি করে উঠছেন গণপরিবহনে। কোন কোন ক্ষেত্রে লেগুনাসহ অন্যান্য যানে গাদাগাদি করেও চলার চিত্র চোখে পড়ে। ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি বাতিলের পর এ চিত্র চলছে গোটা রাজধানীজুড়ে। যখন দেশে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু। এর মধ্যে এরকম দৃশ্য সামনের দিনগুলোর জন্য কতটা স্বস্তিদায়ক? এ প্রশ্ন অনেকের। তাছাড়া প্রয়োজনের তাগিদে গণপরিবহন খোলা হলেও তা কতটা নিরাপদ সে প্রশ্নও রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন না চলার কারণে নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি অতি মাত্রায় বাড়ছে। ফলে সামনের দিনগুলো খুব একটা সুখকর হবে এমন ধারণার সুযোগ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত বিবেচনায় সারাদেশকে তিনটি জোনে ভাগ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে ইতোমধ্যে। কিন্তু সবকিছু হাতছাড়া হয়ে গেলে এরকম পরিকল্পনা কোন কাজে আসবে না। বরং সঙ্কটের মাত্রা বাড়তে থাকবে। পরিস্থিতি এমনও হতে পারে দীর্ঘসময়ের জন্য লকডাউন ঘোষণা ছাড়া বিকল্প থাকবে না। তখন বেশি খেসারত দিতে হতে পারে এমন আশঙ্কার কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গণপরিবহন চলাচল করতে দেয়ার অনুমতি দেশের জন্য কাল হতে পারে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে চলমান পরিকল্পনা আরও ঢেলে সাজানোর পক্ষে মত দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল হেলথের গবেষক ডক্টর লারা গোসচের ২০১৮ সালে প্রকাশিত হওয়া এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে গণপরিবহন ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ফ্লু জাতীয় ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি থাকে। গোসচে বলেন, ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে গণপরিবহন ব্যবহারে ‘পিক আওয়ার’ বা সবচেয়ে ব্যস্ত সময়গুলো সমসময় এড়িয়ে চলা উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সংক্রমিত ব্যক্তির সামনে, পেছনে বা পাশের দুই সারিতে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে ২০০৩ সালে সার্স প্রাদুর্ভাবের সময় সংক্রমিত এক ব্যক্তি যখন বিমানে ভ্রমণ করছিলেন, তখন তার কাছ থেকে যাদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, তাদের ৪৫ শতাংশই তার আশপাশের দুই সারির বাইরে বসেছিলেন। তবে হাত ধোয়া, সম্ভব হলে নিজের অবস্থানের আশপাশ পরিষ্কার রাখা এবং হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করার উপদেশগুলো সবারই মেনে চলা উচিত। বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিতার বিষয় হলো, এর মাধ্যমে সংক্রমণের শিকার হওয়া মানুষ এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পৌঁছাতে পারে। এদিকে রাজধানীতে গণপরিবহনে যাত্রীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। এক আসনে এক যাত্রী নিয়ে বাস চলার সিদ্ধান্তে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাসে আগের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া বেশি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শ্যামলীতে ৮ নম্বর বাসের যাত্রী কালাম জানান, অফিসের জন্য গাবতলী মাজার রোডের বাসা থেকে নিয়মিত বাংলামোটরে যাতায়াত করতে হয় তাকে। এই দূরত্বে নিয়মিত ভাড়া ১৫ টাকা লাগত। সেই ভাড়া এখন দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকায়। অথচ সরকার ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু বাসের চালক-হেলপাররা তা মানছে না। আদতে এদেশে কখনই বাস ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি সরকার।’ রাজধানীর বাসাবো, মালিবাগ, মতিঝিল, মৌচাক মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট ও শ্যামলী বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, গত দুই দিনের তুলনায় বুধবার আজ বাসের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু যাত্রী তুলনামূলকভাবে কম। নিতান্তই খুব বেশি প্রয়োজন না হলে গণপরিবহন এড়িয়ে চলছে মানুষ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসচালকদের অনেকেই মুখে মাস্ক ব্যবহার করছেন। কিছু হেলপারের মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস ও জীবাণুনাশকের বোতল দেখা গেছে। যাত্রীরা ওঠার সময় তাদের হাতে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। তবে গুলিস্তান, বাসাবো, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চলা লেগুনায় গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। কয়েকটি বাসের কিছু আসন ক্রস চিহ্ন দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। যাত্রীরা এ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। আবার কোথাও কোথাও বেশি উল্টো চিত্রও দেখা গেছে। অর্থাৎ স্বাস্থ্য সুরক্ষ মানা হচ্ছে না। বিআরটিসি বাসের যাত্রীরা জানান ১০ টাকার ভাড়া তাদের ২০ টাকা গুনতে হচ্ছে। বিআরটিসি বাসটির চালক কামালের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ফার্মগেট থেকে মতিঝিলের ভাড়া কত? তার উত্তর, ‘ফার্মগেট থেকে মতিঝিল আগে ১০ টাকা ছিল, এখন ২০ টাকা হয়েছে। যাত্রী কম, কিছু করার নাই মামা। ডিএমপির মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) কে এম শহীদুল ইসলাম সোহাগ নিশ্চিত করেছেন, গত দুই দিনের মতোই গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক আছে। প্রতিটি বাসের ৫০ শতাংশ আসন পূরণ হওয়ার কথা থাকলেও যাত্রী সংখ্যা কম থাকার কারণে তা হচ্ছে না। এদিকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া অন্য কোন স্বাস্থ্যবিধি মানছে না রাজধানীর অনেক গণপরিবহন। ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন গণপরিবহনের যাত্রীরা। আবার এ থেকে ছড়াতে পারে সর্বত্র। রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, বাসে ওঠার সময় যাত্রীর তাপমাত্রা পরীক্ষা করার কথা থাকলেও বেশির ভাগ গাড়িই তা করছে না। বাসে ওঠার সময় জীবাণুনাশক স্প্রেও করা হচ্ছে না। এছাড়া বাসের হেলপার প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে থেকে গায়ে হাত দিয়ে দিয়ে যাত্রী তুলছেন। এতে উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার। যাত্রীরা বলছেন, বাসের হেলপার প্রবেশপথে না দাঁড়িয়ে দরজার সামনে প্রথম সিটে বসতে হবে। সেখানে বসে ওঠার সময় যাত্রীর তাপমাত্রা পরীক্ষা করলে করোনার ঝুঁকি কমবে। শারীরিক দূরত্বও তৈরি হবে। কিন্তু হেলপার তো প্রতিদিন অসংখ্য মানুষকে স্পর্শ করছেন। এভাবে চললে গণপরিবহনের মাধ্যমেই করোনার ব্যাপক বিস্তার ঘটবে। রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ গণপরিবহনেই তাপমাত্রা পরীক্ষার থার্মাল স্ক্যানার নেই। ওঠার সময় যাত্রীদের স্প্রে করারও কোন ব্যবস্থা নেই। যদিও সরকার গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধিতে সেসব শর্ত দিয়েছিল। কিন্তু এক আসন ফাঁকা রেখে বসা ছাড়া অন্য কোন স্বাস্থ্যবিধি মানছে না পরিবহনগুলো। বিহঙ্গ, রাইদা, প্রজাপতি, নিউ ভিশন, সিটি সার্ভিস, আট নম্বর, বলাকা, মিডলাইন, ছালছাবিল, অনাবিল, ধুমকেতু, ২৭ নম্বর, বলাকা, বিকল্প, স্বকল্প, উইনার, আকিকসহ বিভিন্ন পরিবহনে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানার চিত্র দেখা যায়নি। অর্থাৎ মানা না মানার চিত্র শুরু থেকেই যা ছিল তা এখনও আছে। নূর, বিহঙ্গ, আবাবিল, তুরাগ, প্রচেষ্টা, ৯নং মতিঝিল ও এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ পরিবহনে দেখা যায়, শুধু আসনে বসার সময় শারীরিক দূরত্ব মানা ছাড়া অন্য কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। তাড়াহুড়ো করে যাত্রী তোলার সময় গায়ে হাত দিচ্ছেন হেলপার। তবে অধিকাংশ যাত্রী মাস্ক পরই যাত্রা করছেন। উইনার পরিবহনের সহকারী মাখন মিয়া বলেন, বাসে যাত্রী তোলার সময় থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করে তুললে করোনাভাইরাস ঝুঁকি কমত। কিন্তু সেই ব্যবস্থা আমাদের নেই। এছাড়াও যাত্রী তোলার সময় সবাই তাড়াহুড়ো করেন। পরীক্ষা করে তোলার সময় কই! বসুমতি পরিবহনের সহকারী রাজীব বলেন, গণপরিবহন চালিয়ে এতকিছু মানা সম্ভব হয় না। রাইদা পরিবহনের যাত্রী নয়ন বলেন, গণপরিবহনে ওঠা মানেই নিজের নিরাপত্তা নিজে নিশ্চিত করা যায় না। এখানে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। আকিক পরিবহনের যাত্রী কৌশিক বলেন, বাসে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। করোনার সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো, হেলপার দরজায় দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী তুলছেন। হেলপার সামনের আসনে বসে যাত্রী তুললে সেই ঝুঁকিটা অনেক কমে যাবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় ২৬ মার্চ থেকে চলা সাধারণ ছুটির মেয়াদ না বাড়িয়ে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস খোলা রাখার পাশাপাশি গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৩ দফা নির্দেশনাও দেয়া হয়। দেশে সংক্রমণের মাত্রা যখন বাড়ছে তখন মহামারী ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ও সমালোচনার মধ্যেই ‘মানুষের জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে’ অর্থনৈতিক কর্মকা- শুরু করার বিকল্প নেই এমন যুক্তি তুলে ধরে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১৫ দিন গণপরিবহন চলাচল ও করোনায় সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন একাধিক মন্ত্রী। তবে মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর গণপরিবহন চলতে সড়কপথে ১৩টি, নৌযান ও রেলে ১৪টি ও বিমানে ১০টি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়। যদিও এসব নির্দেশনা কতটুকু বাস্তবায়ন হবে তাই এখন দেখার বিষয়। মালিক ও শ্রমিক নেতারাও এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হবে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তাছাড়া করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণের মধ্যে সবকিছু স্বাভাবিক করার ঘোষণা সঙ্কটের মাত্রা আরও বাড়াতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরাও। গণপরিবহন চলার খবরে ফের সরব রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের কেন্দ্রস্থল রাজধানীর সদরঘাট। ভোর থেকে ঢাকা নদী বন্দরে বিভিন্ন গন্তব্যের মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। তবে লঞ্চে উঠার পথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের স্যানিটাইজার, সেভলন দিতে দেখা গেছে। যদিও বেশিরভাগ যাত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারে এতটা যতœবান নন। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জানান, যাত্রীরা যেন নির্দিষ্ট আসতে বসতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্ল্যাটফরমে প্রবেশমুখে ও ট্রেনের কামড়ার সামনে যাত্রীদের স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে। ট্রেনের দরজা, হাতল, আসন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের শরীরের তাপমাতা পরীক্ষা করে ট্রেনে ওঠার অনুমতি দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যাত্রীদের সুরক্ষিত রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে ঢাকার বাইরে থেকে আসা ট্রেনের যাত্রীরা আসন অপরিষ্কার থাকা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার নিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, রবিবার ৮ জোড়া ট্রেন পূর্বের শিডিউল অনুযায়ী চলেছে। বুধবার থেকে আরও ১১ জোড়া ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। মোট ৩৮টি ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। বুধবার থেকে তিস্তা এক্সপ্রেস, বেনাপোল এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, রূপসা এক্সপ্রেস, কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, মেঘনা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস চলছে। জানতে চাইলে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ শহীদুল্লাহ বলেন, জোনিংয়ের ওপর নির্ভর করে এখন পলিসি নির্ধারণ করতে হবে। সংক্রমণের হার রেড জোনে বেশি ধরে নিলে ফোকাসটা হবে রেড জোনে বেশি। এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এসব এলাকায় পরীক্ষা সংখ্যা, চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার অর্থাৎ হাসপাতাল বেশি প্রস্তুত রয়েছে কিনা, চিকিৎসক-নার্সসহ অন্য জনশক্তিকে রেড জোনে বেশি নিয়ে আসতে হবে। এমনকি গ্রিন জোন থেকে জনশক্তিকে স্থানান্তর করতে হবে।
×