নভেল করোনা ভাইসের আক্রমণ বিশ্বজুড়ে। এ নিয়ে উদ্বেগ, দুশ্চিন্তাও অন্ত নেই। কিন্তু কি কবে এই সংক্রামক ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পর এগিয়ে যাব, এ নিয়ে চীনে ৫৬.০০০ জন রোগী পর্যাবেক্ষণ পর্যালোচনার পর এ নিয়ে বলেছেন বিজ্ঞানীরা। পর্যালোচনায় দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংক্রমণের পর মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গ দেখা দেয়, যেমন জ্বর, শুকনো কাশি, আর ক্লান্তি। সংক্রমণ এ পর্যন্ত শ্বাসযন্ত্রের উপরেই সীমাবদ্ধ। নাক ও গলা পর্যন্ত। কিন্তু সংক্রমণ শ্বাসযন্ত্রের নিচের অংশে অগ্রসর হয়ে গেলে জটিলতা হয় শুরু।
মানব শ্বাসযন্ত্রের নিচের অংশে আছে শ্বাসনারী ও ক্লোমনালী ক্লোমনালিকা ও বায়ুকোষ। এরপর আছে ফুসফুস। এসব অংশ শ্বাসযন্ত্রের ওপর অংশ থেকে বাতাস টেনে নেয় রক্ত তা থেকে অক্সিজেন শুষে নেয় এর বিনিময়ে ছেড়ে দেয় কার্বন-ডাই-অক্সাইড।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ যদি শোচনীয় হয়ে যায় :
৮০% রোগীর থাকে মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গ
উপসর্গ : জ্বর, শুকনো কাশি, ক্লান্তি, কফ কাশ, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা, মাথাধরা, পেশি শূল। শীত শীত লাগা, বমি ভাব বমি, নাক বন্ধ, তরল মল।
১৪% রোগীর রোগ হতে পারে গুরুতর।
উপসর্গ : শ্বাসকষ্ট, শ্বাসহার বেডে যাওয়া, অক্সিজেন রুমে অভাব।
৬% হতে পারে সঙ্কটাপন্ন।
উপসর্গ : শ্বাসক্রিয়া বিকল হতে পারে, সেপটিক শক্ এক/বা নানা যন্ত্র বিকল হতে পারে।
সংক্রমণ যদি ফুসফুসের অর্ধেকের বেশি এলাকায় বিস্তার লাভ করে, তাহলে অক্সিজেন স্থানান্তর ক্ষমতা কমে যেতে পারে। রক্তে অক্সিজেন মান কমে যায়। অক্সিজেন কমে গেলে নানা দেহযন্ত্র মগজ, হৃদযন্ত্র এরকম অনেক যন্ত্র প্রভাবিত হয়।
* কোভিড-১৯ রোগের মৃত্যুহার
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী
* যে রোগীর অন্য কোন রোগ নেই : ১.৪%
* যে রোগীর অন্যান্য রোগ ও আছে
হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মতো রোগ- ১৩.২%
ডায়াবেটিস -৯.২০%
উচ্চরক্তচাপ-৮.৪%
ক্রনিক শ্বাসযন্ত্রের রোগ-৮%
ক্যান্সার -৭.৬%
গুরুতর ক্ষেত্রে, ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত, জটিলতা কেবল শ্বাসসঙ্কট ও রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি পর্যন্ত সীমিত থাকতে পারে। কিন্তু চিকিৎসা ছাড়া যদি এমন চলতে থাকে তাহলে মগজে অক্সিজেনের অভাবে রোগী অস্থির হয়ে পড়তে পারে, অচেতন হতে পারে। অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিকল হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চীনের যুক্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, পর্যালোচনা করা রোগীর ১৩.৮% ছিল গুরুতর আর ৬.১% ছিল সঙ্কটাপন্ন। ৬০ উর্ধ এবং অন্যান্য রোগ যাদের আছে এমন লোকের বেশির ভাগের অবস্থা ছিল গুরুতর ও সঙ্কটাপন্ন। অন্যান্য রোগ আছে যাদের তাদের মধ্যে গুরুতর ও সঙ্কটাপন্ন হবার শঙ্কা বেশি।
চিকিৎসা উপসর্গ মাফিক যেহেতু এর নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। গুরুতর ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজন হয় ভেন্টিলেটর, সাপোর্ট, ফ্লুইড দেয়া, সেপসিস ঠেকানো।
যে সব দেশে জটিলতা চিকিৎসা করার জোগাড় যন্ত্রের অভাব, প্রতিরোধ হলো শ্রেষ্ঠতম উপায়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: