ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

টেইলরের গলায় স্যার রিচার্ড হ্যাডলি পদক

প্রকাশিত: ২৩:২০, ৩ মে ২০২০

টেইলরের গলায় স্যার রিচার্ড হ্যাডলি পদক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বুড়ো হাড়ে ভেল্কি বুঝি একেই বলে। বয়স ৩৬ পেরিয়ে। কিন্তু পারফর্মেন্সে চিরতরুণ রস টেইলর। কেবল টেস্ট-ওয়ানডে নয়, এই বয়সেও তিনি নিউজিল্যান্ডের সেরা টি২০ পারফর্মার। ফলও পেলেন কিংবদন্তিতুল্য এই ব্যাটসম্যান। ২০১৯-২০২০ মৌসুমের বর্ষসেরা নির্বাহিত হয়ে তৃতীয়বারের মতো নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (এনজেডসি) সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘স্যার রিচার্ড হ্যাডলি’ পদকে ভূষিত হলেন টেইলর। এইসঙ্গে বর্ষসেরা টি২০ ক্রিকেটারও হয়েছেন তিনি। করোনাকালের এই লকডাউন সময়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বর্ষসেরার পুরস্কার প্রদান করে আসছে এনজেডসি। বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার হয়েছেন তারকা পেসার টিম সাউদি। বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ওয়ানডের বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার সুজি বেটিস, টি২০তে সোফি ডিভাইন। গত ১২ মাসে ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন টেলর। সব ফরম্যাট মিলিয়ে এই সময় তুলেছেন ১৩৮৯ রান। এর মাঝে টেস্টে ৩৯.৩০ গড়ে করেছেন ৫১১ রান, ওয়ানডেতে ৪৯.৯১ গড়ে ৫৪৮ ও টি২০তে ৩০ গড়ে করেছেন ৩৩০ রান। এই সময়টাতেই টেস্টে নিউজিল্যান্ড ইতিহাসের সর্বাধিক রান সংগ্রাহকের রেকর্ড গড়েন। জানুয়ারিতে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পেছনে ফেলেছেন স্টিফেন ফ্লেমিংকে। শুধু তাই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিন ফরমেটের প্রতিটিতে ১০০টি ম্যাচ খেলারও অনন্য গৌরব অর্জন করেন। ‘এই সময়টায় অনেক উত্থান-পতন ছিল। বিশ্বকাপ ফাইনাল, সেখানে হেরে যাওয়া। বক্সিং ডে টেস্ট, যেখানে অংশ নিতে পারাটা আমার জন্য গর্বের একটি মুহূর্ত ছিল। আর এখানেই কিউই দর্শকরা আমাদের সমর্থন যুগিয়েছিল। যা আমি কখনও ভুলব না। এই মৌসুমে যে ধারাবাহিকতা আমার ছিল, তাতে আমি নিজেই খুব আনন্দিত। আর যেকোন সময় দলের পারফরম্যান্সে অবদান রাখা ও দলকে কাক্সিক্ষত লক্ষে পৌঁছে দিতে পারা, সব সময়ই বিশেষ কিছু।’ বর্ষসেরা হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বলেন রস টেইলর। এমন সম্মান অর্জনের পর এখন ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের পর্যন্ত খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন টেইলর। তিনি আরও বলেন,‘সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে- আমার মনে হয় আমি, ক্ষুধার্ত এবং ভাল করার বিষয়ে মানসিক উৎসাহ পাব। সেটা থাকলে বয়স কেবলই একটা সংখ্যা।’ ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়ার পর দেশের হয়ে এ পর্যন্ত ১০১টি টেস্ট, ২৩২টি ওয়ানডে ও ১০০টি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন টেইলর। যতক্ষণ তিনি অনুভব করবেন যে, নিউজল্যান্ড দলে নিজের জায়গা পাওয়া সম্ভব এবং দলের জন্য অবদান রাখতে পারবেন, ততদিনই তিনি খেলে যেতে চান,‘আমি ৩৮ বা ৩৯ বছর বয়সে আগামী বিশ্বকাপে যেতে পারি কি-না, সেটিই দেখতে হবে।’ ক্যারিয়ারে দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের সঙ্গী হয়েছেন। ২০২৩ সালে, অর্থাৎ তৃতীয়বার ভাগ্য সহায় থাকবে বলে আশা করছেন টেইলর। ওয়ানডেতে গত বছরটা দুর্দান্ত কেটেছে বর্তমান অধিনায়ক উইলিয়ামসনেরও। দল হিসেবে নিউজিল্যান্ডের সাফল্যের পেছনেও তার বড় অবদান ছিল। বিশেষ করে কিউইদের ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পেছনে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় দায়িত্বটা পালন করেছেন এই ডানহাতি। গত বিশ্বকাপে ৮২ গড়ে ৫৭৮ রান করেছেন ২৯ বছর বয়সী উইলিয়ামসন।
×