ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মংলা বন্দরে ৬ চীনা নাবিক আইসোলেশনে

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ২৮ এপ্রিল ২০২০

মংলা বন্দরে ৬ চীনা নাবিক আইসোলেশনে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ২৭ মার্চ, মংলা ॥ মংলা বন্দরে আগত একটি বিদেশী জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ ৬ চীনা নাবিকের শরীরে করোনা উপসর্গ পরিলক্ষিত হওয়ায় তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে ওই জাহাজের পণ্য খালাসের কাজও। জাহাজটিতে মোট ২০ চীনা নাবিক রয়েছেন। জাহাজটি রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ৩টায় মংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় আসে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মংলা পোর্ট হেলথ অফিসার ডাঃ সুফিয়া খাতুন জানান, বিদেশী ওই ৬ নাবিকের শরীরে স্বাভাবিকের চাইতে জ্বরের মাত্রা বেশি পাওয়ায় তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। করোনা উপসর্গ পরিলক্ষিতদের কারও কারও শরীরে ৯৯, ১০০ এবং ১০১ তাপমাত্রা রয়েছে। তাদের চিকিৎসক টিমের পুরোপুরি রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত জাহাজটিতে পণ্য খালাসের অনুমতি দেয়া যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দিন ও ওই জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মের্সাস সুলতান শিপিং এর ব্যবস্থাপক মাহমুদুল হক রাজু জানান, ২৪ হাজার মেঃ টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা ‘মের্সাস চ্যাং হ্যাং জিং হাই’ জাহাজটি রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ৩টায় মংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় আসে। ঢাকা থেকে পালানো করোনা রোগী ধামরাইয়ে উদ্ধার ॥ সংবাদদাতা সাভার থেকে জানান, সাভারে সেলিম হোসেন (৩২) নামের এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সোমবার সকালে তার রিপোর্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের হাতে পৌঁছানোর পর তাকে আর পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, রবিবার সকালে সেলিম নামের ওই ব্যক্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে যায়। এরপর সোমবার সকালে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসলে হাসপাতালের খাতায় নিবন্ধিত ঠিকানায় গ্রামের নাম ছিল সাভারের চাপাইন এলাকা। সে অনুযায়ী ওই ব্যক্তিকে খুঁজতে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেখানেও দেখা যায়, ঠিকানা ভুল এবং ওই ব্যক্তির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা বলেন, নিখোঁজ ওই ব্যক্তির সন্ধানের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে জানানো হয়েছে। করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আইইডিসিআর এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে সাভার উপজেলায় ২০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিকে, ঢাকায় করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ আসার পরেও ধামরাই এসে অবস্থান নিয়েছিল টাঙ্গাইলের এক ব্যক্তি (৪৬)। পরে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন তাকে ঢাকার মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নূর রিফফাত আরা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ২৩ এপ্রিল ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে পরীক্ষার পর করোনা পজিটিভ আসে টাঙ্গাইলের সেই বাসিন্দার। কিন্তু সেই আক্রান্ত ব্যক্তি রবিবার ধামরাইয়ের চৌহাট পাইকপাড়া এলাকায় তার শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি গোপন সূত্রে জানতে পেরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঢাকার মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের সহয়তায় সেই বাড়িটি পুরোপুরিভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত ধামরাই উপজেলা থেকে ১৯০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ৫ জন।
×