ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এক্সট্র্যাকশন সিনেমায় বাংলাদেশকে হেয় করার প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২০

এক্সট্র্যাকশন সিনেমায় বাংলাদেশকে হেয় করার প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে হলিউডের ‘এক্সট্র্যাকশন’ সিনেমা। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে এ সিনেমাটি। এ সিনেমাটি পরিচালনা হলিউডের ‘এ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার’ ছবির পরিচালকদ্বয় জো রুশো ও এ্যান্থনি রুশোর প্রযোজনায় এ ছবিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রখ্যাত অভিনেতা ক্রিস হেমসওর্থ। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন স্যাম হারগ্রেভ। এ ছবির মধ্য দিয়ে এই প্রথম ঢাকা শহরের গল্প নিয়ে কোন সিনেমা নির্মাণ করা হয়েছে হলিউডে। আগেই জানা গিয়েছিল এই খবর। তবে কী সেই গল্প, কীভাবে দেখানো হবে ঢাকাকে। তা জানা যাওয়ায় ছবিটি নিয়ে এদেশের দর্শকের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। তাই ছবিটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেতেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন সবাই। অনেক আশা আর প্রত্যাশা নিয়ে ছবিটি দেখতে শুরু করেছিলেন দর্শক। কিন্তু অভিজ্ঞতা হলো খুবই বাজে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে একটি অপরাধপ্রবণ শহর যা দেশটির জন্য অপমানের। শুধু তাই নয়, ঢাকাবাসীদের ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে মিথ্যে তথ্য দিয়ে। দেশের পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেখানো হয়েছে দুর্নীতিবাজ হিসেবে। যার ফলে ‘এক্সট্র্যাকশন’ ছবির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বাংলাদেশের দর্শক। শত শত রিভিউ দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যার অধিকাংশই এ ছবির সমালোচনায় ভরা। অনেকেই ছবির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ভাবমূর্তি নষ্ট করায় আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন। সেইসঙ্গে অনেকে ছবিটির দুর্বল গল্প, মানহীন নির্মাণের জন্যও সমালোচনা করেছেন। সাধারণ দর্শকদের পাশাপাশি অনেক তারকারাও ছবিটির গল্প, নির্মাণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা ছবিতে বাংলাদেশ ও ঢাকাকে হেয় করায় ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে অভিনেত্রী ও পরিচালক মেহের আফরোজ শাওন লিখছেন, মারামারি ছাড়া আর কিছু ভাল লাগে নাই। দুর্বল গল্প। বাংলাটা ঠিকঠাক বললেও চলত। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের আইনী নোটিস পাঠানো উচিত। অভিনেত্রী মৌটুসী কঠোর সমালোচনা করেছেন এক ভিডিওতে। সেখানে তিনি বলেছেন, একেবারেই মেনে নিতে পারিনি। যে সময়ে আমাদের পুলিশ-আর্মি একসঙ্গে হাতে হাত রেখে মানুষকে বাঁচানোর জন্য করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এ জন্য তারা নিজের জীবনটাকে বাজি রাখছে রোজ। ঠিক সেই সময়ে এমন একটা বাজে গল্পের ছবি আমাকে অশান্ত করে তোলে। যে ছবিতে দেখা যায়, একজন ডনের ইশারায় দেশের সব পুলিশ-আর্মি রাস্তায় নেমে ফাইট করছে আর পুতুলের মতো মার খাচ্ছে। আমি পুরাটাই ডিজহার্টেড ছবিটা দেখে।
×