ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষকের সঙ্গে ধান কাটছেন শিক্ষিকা ডলি

প্রকাশিত: ১৯:১০, ২৭ এপ্রিল ২০২০

 কৃষকের সঙ্গে ধান কাটছেন শিক্ষিকা ডলি

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাধবপুর, হবিগঞ্জ, ২৬ এপ্রিল ॥ মাঠে পাকা ধান। করোনার মহামারীতে চলছে শ্রমিক সঙ্কট। করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাই কার্যত অবরুদ্ধ। তবু দুর্দিনের জন্য ঘরে ধান তুলতে হবে। কৃষকরা মাঠে নামতে ভয় পায়। এমন সময় কৃষকদের সাহস দিতে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে কাস্তে হাতে ধান কাটায় নেমে পড়েছে এক স্কুল শিক্ষিকা। তিনি মাধবপুর পৌর শহরের নোয়াগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যায়ের শিক্ষক- শিক্ষিকা। গোপালপুর গ্রামের স্থানীয় কৃষকরা জানান, করোনা সংক্রমণে ভয়ে মানুষ ঘর বের হয় না। কিন্তু সোনালি ধান পড়ে রয়েছে। কখন ঝড়, শিলা, বৃষ্টিতে ঝড়ে যায় এ নিয়ে কৃষকদের অন্তহীন চিন্তা। এমন সময় শিক্ষিকা ডলি প্রভা রায় কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন দূরত্ব বজায় রেখে ধান কাটতে। শুধু তাই নয় প্রতিদিন সকাল ৫টায় কৃষকদের সঙ্গে থেকে কাস্তে হাতে নিয়ে নিরলসভাবে ধান কাটছেন। ওই শিক্ষিকার ধান কাটা নিছক প্রচার বা ছবি তোলা নয়। মাটির টানে কৃষক ও দেশের কথা ভেবেই তিনি কৃষকের সঙ্গে থেকে ধান কাটছেন। একজন নারী শিক্ষিকার এমন উৎসাহ উদ্দীপনা দেখে আশপাশের কৃষকরা ধান কাটায় নেমে পড়েছেন। আদাঐর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক পাঠান বলেন, শিক্ষক ডলিপ্রভা রায় প্রতিদিন মাঠে ধান কেটে কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছেন। তার মতো করে যদি আরও নারী পুরুষ করোনা সঙ্কটে ধান কেটে কৃষকদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে তাহলে বন্যা, ঝড়, শিলাবৃষ্টির আগেই ধান ঘরে তোলা যেত। শিক্ষক ডলি প্রভা রায় বলেন, করোনা এখন পৃথিবীর বড় সঙ্কট। কিন্তু এর চেয়ে বড় সঙ্কট দেখা দিতে পারে খাদ্য সঙ্কট। প্রধানমন্ত্রী ও প্রাথমিক শিক্ষা মহাপরিচালক বলেছেন, বোরো ধান কর্তনে আমরা যেন কৃষকের পাশে দাঁড়াই। তাই আমার নিজের চেতনাবোধ থেকে কৃষকদের সঙ্গে ধান কাটছি। যাতে কৃষক বন্ধুরা সহজেই তাদের ধান ঘরে তুলতে পারে। কারণ ঘরে যদি খাদ্য না থাকে তখন অবরুদ্ধ হয়ে করোনার চেয়ে বহু মানুষ না খেয়ে মরবে।
×