ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার ভাল দিকও দেখছেন কোহলি

প্রকাশিত: ১১:০৭, ২৩ এপ্রিল ২০২০

করোনার ভাল দিকও দেখছেন কোহলি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শিক্ষা-সংস্কৃতি, অর্থ-বাণিজ্য, ক্রীড়াঙ্গন সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে। এত প্রাণহীনতা আর ধ্বংসের মাঝেও করোনার ভাল দিক খুঁজে পাচ্ছেন বিরাট কোহলি! আশ্চর্য হলেও সত্যি। এই যে অসহায়ের জন্য মানুষের বিবেক নাড়া দিয়ে উঠছে, প্রত্যেকে নিজের অবস্থানে থেকে কিছু করার চেষ্টা করছেন, মানুষের এই দয়াশীলতা, মহানুভবতা ভাল লাগছে ভারত অধিনায়কের। ‘আনএকাডেমি’ কর্তৃক আয়োজিত একটি অনলাইন ক্লাসে শিক্ষর্থীদের জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে সময়ের সুপার উইলোবাজ আশা প্রকাশ করেন, পরবর্তীতেও এটা অব্যাহত থাকবে। কোহলির পাশাপাশি অনলাইন সেশনে তার স্ত্রী বলিউড নায়িকা আনুশকা শর্মাও কথা বলেছেন। আলোচিত করোনভাইরাস ইস্যু, ক্রিকেটে নিজের অতীত, ক্যারিয়ার এসব নিয়েও আলোচনা করেন কোহলি। সেখানে তুখোড় তারকার জীবনের চমকপ্রদ অনেক বিষয় উঠে আসে। কোহলি বলেন, ‘এই করোনা পরিস্থিতির একটা ইতিবাচক দিক হলো যে, সমাজের সবাই এখন দয়াশীল হতে শিখছেন। আমরা সবাই এখন ফ্রন্টলাইন ফাইটারদের আরও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সেটা হোক পুলিশ, চিকিৎসক বা নার্স। আমি আশা করি এটা লকডাউন শেষের পরেও থাকবে।’ ভারত অধিনায়ক আরও যোগ করেন, ‘জীবন অনিশ্চিত। তাই সেটাই করুন যা আপনাকে খুশি করে। অন্যের সঙ্গে তুলনায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই। সবার নিজস্ব চিন্তাধারা আছে। সবাইকে এটা করার সুযোগ দেয়া উচিত। করোনার পরে জীবন অন্যরকম হয়ে যাবে।’ বিশ্বজুড়ে করোনভাইরাসের মহামারী ভারতেও হানা দিয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দীর্ঘদিন ধরে চলছে লকডাউন। কোহলির স্ত্রী ও বলিউড কন্যা আনুশকা বলেন, ‘এই যে বর্তমান পরিস্থিতি, এতে সবার জন্যই শিক্ষা রয়েছে। কোনকিছুই কারণ ছাড়াই হয় না। যদি ফ্রন্টলাইন যোদ্ধারা না থাকতেন, তাহলে আমরা হয় তো মৌলিক জিনিসগুলোর দিকে খেয়াল করতাম না। এটা আমাদের শেখাচ্ছে কেউই আলাদা নই। স্বাস্থ্যই সবকিছু। আমরা এখন সামাজিকভাবে আগের চেয়েও বেশি জড়িয়ে আছি।’ কোহলি আজকে যে বিশ্ব ক্রিকেটের অঘোষিত কিং, এই যাত্রাটা মোটেই সহজ ছিল না। একবার দিল্লী রাজ্য দলে সুযোগ না পেয়ে সারা রাত কেঁদেছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি, ‘প্রথমবার আমি রাজ্য দলে সুযোগ পেলাম না। আমার এখনও মনে আছে, রাত প্রায় পুরোটা কেটে গিয়েছিল, আমি কাঁদছিলাম শুধু। রাত তিনটা পর্যন্ত চিৎকার করছিলাম। (বাদ পড়ে গেছি) কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না আমার। কারণ, আমি তখন বেশ ভাল রান করেছিলাম। সবকিছুই আমার পক্ষে ছিল। আমি ওই পর্যায় পর্যন্ত যাওয়ার জন্য সব জায়গাতেই পারফর্ম করেছি। কিন্তু শেষপর্যন্ত বাদ পড়ে গেলাম। আমি কোচকে দুই ঘণ্টা ধরে একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছিলাম, কেন আমার সুযোগ হলো না? আমি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না।
×