ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এখন পরিবারকে সময় দিচ্ছেন বার্টি

প্রকাশিত: ১১:০৬, ২৩ এপ্রিল ২০২০

এখন পরিবারকে সময় দিচ্ছেন বার্টি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত বছরেই বিশ্ব টেনিসের পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে এসেছিলেন এ্যাশলে বার্টি। অসাধারণ পারফর্মেন্স উপহার দিয়ে বিশ্ব টেনিসের নজর কাড়েন তিনি। দুর্দান্ত খেলে জিতে নেন মৌসুমের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা। শুধু তাই নয়, ধারাবাহিক পারফর্মেন্স উপহার দিয়ে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটাও দখল করে নেন অস্ট্রেলিয়ান টেনিসের এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়। করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ। এই সময়ে স্থগিত করা হয়েছে টেনিসের সব টুর্নামেন্ট। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ নামক ভাইরাসের কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই এখন লকডাউনে। যে কারণে নাম্বার ওয়ান তারকা এ্যাশলে বার্টিও ঘরবন্দী জীবনযাপন করছেন। তবে এই সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারায় বিষয়টাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন বার্টি। তিনি বলেন, ‘সবকিছুরই ভাল মন্দ দুটি ঠিক থাকে। আপনি সেখান থেকে ভালটাকে গ্রহণ করতে পারেন। এই সময়ে আমার জন্য ভাল দিক হলো, সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারছি।’ ২৩ বছর বয়স এ্যাশলে বার্টির। তবে আগামীকাল শুক্রবারই চব্বিশে পা রাখবেন তিনি। এই জীবনে এর আগে কখনোই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি তিনি। এ প্রসঙ্গে বার্টি বলেন, ‘তবে এটা যে চ্যালেঞ্জিং সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। আর এটা এমন এক পরিস্থিতি যা জীবনে এর আগে কখনোই সম্মুখীন হইনি। কিন্তু এই সময়টাতে হতাশ হওয়া যাবে না মোটেই। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক খেলাধুলা, বৈশ্বিক খেলাধুলা বন্ধ থাকার সময়টা আরও দীর্ঘ হতে পারে। আমার দৃষ্টিকোন থেকে এটাকে ভয় করাটাই স্বাভাবিক। অস্ট্রেলিয়াতে আমরা সবকিছু সঠিক নিয়ম মেনেই করে চলেছি। সেজন্য আমরা ভালও করছি। কিন্তু টেনিস খেলাটা আসলে বৈশ্বিক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়েই এই খেলা খেলতে হয়। তাই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যে যেখানেই যাই না কেন প্রত্যেককেই খুব ভালভাবে প্রস্তুতি নিয়েই যাওয়া উচিত। করোনাভাইরাসটা এমন যা নিশ্চিতভাবেই চিন্তার বিষয়। তবে আরেক দিক বিবেচনায় এটা মোটেও চিন্তার বিষয় নয় বরং সচেতনার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ভয় পেলে চলবে না। কেননা, এটা এমন একটা ভাইরাস যা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’ এই সময়টাতে গলফ খেলছেন বার্টি। তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু গলফ খেলার আয়োজন আছে। সেখানেই সময় পার করছি। গলফ খেলাটা সঠিক নির্দেশনা মেনেই খেলতে হয়। এটা একটা ইতিবাচক দিক। গলফ খেললে যে একটা ধাঁধার মধ্যে পড়ি সেটা আমার মন এবং মস্তিষ্কের জন্য দারুণ ব্যাপার। মনে হয় এই খেলাটা খেলতেই থাকি। এই সময়টাতে ঘরোয়াভাবেই অনুশীলন এবং শারীরিক ব্যায়ামগুলো করছি। তাছাড়া অবসর সময়ে বই পড়ছি। শরীর, মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখার জন্য যে কোন মানুষের জন্য এগুলো করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ করোনাকালে কী কোন খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বার্টি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি কিছু মেয়েদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের শরীর কেমন? তাদের পরিবারের অবস্থা কেমন? তা জানার জন্যই কথা বলেছি। আমি কিকি (বার্টেন্স), জুলে (জর্জেস), সিমো (হ্যালেপ) এবং পেত্রার (কেভিতোভা) সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সর্বশেষ অবস্থা জানার চেষ্টা করেছি। তাদের বাড়ির অবস্থা এবং এই মুহূর্তে কোথায় অবস্থান করছেন সেটাও জেনেছি।’ ফ্রেঞ্চ ওপেনের চ্যাম্পিয়ন টেনিসপ্রেমীদের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম এবং মূল কথাই হলো, অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে। এই সসময়টাতে নিজের শরীরের যতœ নেয়ার পাশাপাশি পরিবার এবং ভালবাসার মানুষগুলোর যতœ নিতে হবে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি খুব সৌভাগ্যবান। তবে এই সময়টাতে যারা অন্যসব কাজগুলো করছেন তাদেরও প্রশংসা করতে হবে। সবাইকে বাড়িতে নিরাপদ থাকাটা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে আমরা দ্রুতই আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারি।’
×