ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চীন থেকে ২০ হাজার কিট-পিপিই আনছে সরকার

প্রকাশিত: ১১:০৩, ২২ মার্চ ২০২০

চীন থেকে ২০ হাজার কিট-পিপিই আনছে সরকার

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নোভেল করোনাভাইরাস শনাক্তে চীন থেকে প্রথম দফায় সরকারীভাবে ১০ হাজার টেস্টিং কিট ও ১০ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ (পিপিই) আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। খবর বিডিনিউজের। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথমারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনকে শনাক্তের পর থেকে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। শনিবার পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ এ দাঁড়িয়েছে। আর মারা গেছেন দুইজন। এর আগে এই ভাইরাস শনাক্তে ৫০০ পিসিআর (পলিমেরেজ চেইন রিএ্যাকশন) কিট দিয়েছে চীন। শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কোন কোন ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে- কিটস, সুরক্ষা ইকুইপমেন্ট নাই। আমরা ইতোমধ্যে আনার ব্যবস্থা করেছি। চীন রেডি রেখেছে, আমরা তাদের অনেকগুলো ইকুইপমেন্ট দিতে বলে রেখেছিলাম। ইতোমধ্যে ১০ হাজার টেস্টিং কিটস ও ১০ হাজার প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট রেডি আছে। যেকোন সময় চার্টার্ড ফ্লাইটে এগুলো চলে আসবে।’ সরকারের বাইরে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানও চীন থেকে এগুলো আনার চেষ্টা করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনে আমরা চার্টার্ড ফ্লাইটে সেগুলো নিয়ে আসব।’ এ পরিস্থিতিতে জরুরী সেবা খাতের ব্যক্তিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘এ্যাসেনশিয়াল সার্ভিস মানে পুলিশ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করেন, চিকিৎসক, নার্স, প্রত্যেকেরই ছুটি এ মুহূর্তে বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।’ নতুন করে ১০টি দেশের ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানোর পাশাপাশি কয়েকটি দেশের ফ্লাইট চালু রাখার যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জরুরী যোগাযোগের জন্য ইউকে, থাইল্যান্ড, হংকং ও চীনের ফ্লাইট চালু রাখা হয়েছে। যাতে কারও জরুরী বা বিশেষ প্রয়োজন হলে সেই রুটগুলো নিতে পারে।’ বিদেশ ফেরত কেউ ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে না থেকে ঘুরে বেড়ালে প্রশাসনকে জানানোর আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ‘সরকারের স্থির সিদ্ধান্ত হচ্ছে বিদেশ থেকে আসলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। দেশবাসীকে বলব, কেউ যদি অমান্য করে তাহলে স্থানীয় প্রশাসনকে অবশ্যই জানাবেন। যারা বিদেশ থেকে ফিরবেন, তাদের প্রত্যেকের হাতে আমরা একটি অমোচনীয় দাগ দিয়ে দিচ্ছি, যাতে সহজে চিহ্নিত করা যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশবাসীকে আহ্বান জানাব, যারা এই ধরনের লোক, যাদের অবশ্যই কোয়ারেন্টাইন প্রয়োজন, তারা যদি ঘুরে বেড়ান, তাহলে আপনারা তাদের চিহ্নিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে জানাবেন। স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আত্মীয়-স্বজনকে বলব, আপনারা বিদেশ থেকে যারা আসবেন তাদের বিষয়ে সজাগ থাকবেন। কারণ, কার মধ্যে ভাইরাস আছে আমরা জানি না।’ প্রবাসীদের আপাতত দেশে না আসার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যারা প্রবাসী আছেন, সজাগ হোন। দেশে আসা আপাতত পেছান। আমাদের আলাপ হয়েছে বিভিন্ন দেশের। যদি ভিসা শেষ হয়ে যায়, সেটা এক্সটেনশন করে দেবে। সেজন্য তাদের দুশ্চিন্তার কারণ নাই।’
×