ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

অলিম্পিক আয়োজনে অনড় জাপান, চিন্তায় বিশ্বের ক্রীড়াবিদরা

করোনা আতঙ্কে উদ্বিগ্ন আইওসির টেলিকনফারেন্স আজ

প্রকাশিত: ১২:০৩, ১৭ মার্চ ২০২০

করোনা আতঙ্কে উদ্বিগ্ন আইওসির টেলিকনফারেন্স আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জেরে চিন্তা বেড়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) কর্মকর্তাদেরও। সে কারণেই টোকিও অলিম্পিক শুরু হওয়ার পাঁচ মাস আগে তাদের সদস্য দেশগুলোর অলিম্পিক সংস্থার সঙ্গে জরুরী ভিত্তিতে টেলিফোন-আলোচনায় বসতে চাইছেন তারা। আজই সেই আলোচনা করতে পারে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। যেখানে বিভিন্ন দেশের অলিম্পিক সংস্থা ও এ্যাথলেটদের সঙ্গে বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত কথা বলবেন আইওসি কর্মকর্তারা। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে আইওসি তা জানানোর পাশাপাশি ক্রীড়াসংস্থাগুলোও এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করতে পারবে সেই বৈঠকে। আইওসির এক মুখপাত্র অবশ্য বলেছেন, সদস্য দেশগুলোর অলিম্পিক সংস্থাকে সব সময়েই সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও তার সমস্যা সমাধান নিয়ে অবহিত করে থাকে। আলোচনা তারই অংশ। টোকিও অলিম্পিকের আগে করোনা সংক্রমণের জেরে ইতোমধ্যেই একাধিক খেলা বাতিল হয়েছে বিশ্বে। যদিও দু’দিন আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপে অতিমারী হলেও নির্ধারিত সূচী মেনেই আসন্ন জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত হবে টোকিও অলিম্পিক। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা আগেই আইওসির প্রেসিডেন্ট থমাস বাখ বলেছিলেন, আসন্ন টোকিও অলিম্পিক বাতিল করতে হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধিনিষেধ খতিয়ে দেখে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। একই সঙ্গে বাখ এটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন, অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জনের জন্য যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আপাতত স্থগিত রয়েছে, তার জন্য সমস্যা তৈরি হয়েছে। আজকের টেলি-আলোচনায় এই বিষয়টি নিয়েও কথা হবে। যদিও চলতি মাসের শুরুতে বাখ বলেছিলেন, অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে আইওসি নমনীয় হবে। সব এ্যাথলেটই অলিম্পিক্সে যোগ দেয়ার জন্য প্রস্তুতি পর্বের সুযোগ পাবে। এদিকে ফাঁকা স্টেডিয়ামে হবে টোকিও অলিম্পিকসের মশালের হাতবদল। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে অলিম্পিক কমিটির পক্ষ থেকে। মানুষের জমায়েত এড়ানোর জন্য মশাল নিয়ে চিরাচরিত দৌড় বাতিল করা হয়েছে। আগামী ১৯ মার্চ এথেন্সের স্টেডিয়ামে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে এই মশাল হাতবদল হবে বলে জানানো হয়েছে। করোনার জেরে বিশ্বের সব খেলা বন্ধ। কিন্তু তা নিয়ে চিন্তিত নন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তিনি বলেছেন, ‘জুলাই মাসের ২৪ তারিখ থেকে নির্ধারিত সময়েই ওলিম্পিকসের আয়োজন করা হবে। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সবার কথা একটাই, আগে জীবন, তারপর খেলা। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পাশাপাশি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন গোটা বিশ্বের ক্রীড়াবীদরাও। তারা কেউ চান না করোনায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ করতে।
×