ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় উৎপাত বেড়েছে

মশা নিধনে নেই পদক্ষেপ

প্রকাশিত: ১২:০৩, ১৬ মার্চ ২০২০

 মশা নিধনে নেই পদক্ষেপ

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ায় মশার উৎপাত বেড়ে চলছে। মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার কারণে বাড়িতে নগরবাসীর স্বস্তি উধাও হলেও এ নিয়ে পদক্ষেপ নেই পৌরসভার। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত পৌরসভায় মশা নিধনের ওষুধও কেনা হয়নি। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন, শীঘ্রই মশা নিধনের ওষুধ কিনে মশক নিধন কর্মসূচী শুরু করা হবে। মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় পৌরবাসীর দুর্ভোগের সঙ্গে উদ্বেগও বাড়ছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, এখনই মশা নিধন কার্যক্রম শুরু না হলে মশাবাহিত রোগের নানামুখী আশঙ্কা তৈরি করবে। শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে শহরবাসীর প্রশ্ন দীর্ঘ দিনের। এক সময়ের পরিচ্ছন্ন শহর বগুড়ার অনেক এলাকাতেই ভাগাড় উপচেপড়ে পরিবেশ দূষণসহ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকা অনেকটা স্বাভাবিক। ড্রেনগুলো অনেকটা নাম সর্বস্ব। প্রায় সব ড্রেনই ময়লা কাদায় ভরে ওঠে ড্রেন দিয়ে পানিপ্রবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে থাকার মতো অবস্থা। একটু বৃষ্টিতেই অনেক এলাকায় আবার ড্রেনের উপচেপড়া পানি পরিবেশ দুর্গন্ধময় ও লোকজনের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। আর এসব ড্রেনে পানি আবদ্ধ থাকায় মশার বংশ বিস্তারের অন্যতম স্থান হয়ে উঠছে। তাই ড্রেনেজ ব্যবস্থা পৌরবাসী দুর্ভোগ যেন স্থায়ী রূপ নিতে শুরু করেছে। গত কিছু দিন ধরে মশার উৎপদ্রব বেড়ে চললেও সংশ্লিষ্টদের এ নিয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। সন্ধ্যা এমনকি দিনের বেলাতেও মশার তৎপরতা বাড়ছে। ফলে মশার উৎপাতে পৌরবাসী অস্বস্তিকর অবস্থায় রয়েছে। সামনেই এইচএসসি পরীক্ষা। এমন অবস্থায় পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়াতেও বিঘ্ন ঘটছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত বছর ডেঙ্গু প্রতিরোধের সচেতনতামূলক তৎপরতা ও মশা নিধন কার্যক্রমের পর মশার বিস্তার রোধ ও মশা নিধনে পৌরসভা থেকে আর কোন পদক্ষেপ এ বছর নেয়া হয়নি। মশা নিধনে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় অনেক এলাকায় পৌরবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। চলতি মাসে মশা নিধনে জেলা আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভায় মশা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা উঠলে পৌর মেয়র বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান জানান, শীঘ্রই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মশা নিধন কার্যক্রম কবে শুরু হবে সে বিষয়ে বগুড়া পৌরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সচিব রেজাউল করিম জানান, ওষুধ কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্রুতই সরাসরি এই ওষুধ কিনে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি জানান, বগুড়া পৌরসভার আয়তনের তুলনায় লোকবল অনেক কম। ড্রেনেজ ব্যবস্থাতে তাই অনেক সময় কাজ করা সম্ভব না। বগুড়া পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক শাহ আলী জানিয়েছেন, ওষুধ কেনার পর ফগার ও হ্যান্ড স্প্রে মেশিনে ওয়ার্ড ভিত্তিক মশক নিধন কার্যক্রম শুরুর জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পৌরসভা সচিব আরও জানিয়েছেন, মশক নিধনে বিশেষ কার্যক্রম নেয়া হচ্ছে। এছাড়া পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক বলছেন, ওষুধ না কেনা পর্যন্ত মশক নিধন কার্যক্রমে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাদের হাতে কিছু ওষুধ থাকলেও তা আপদকালীন জরুরী প্রয়োজনে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ড থেকেই কাউন্সিলররা মশক নিধন কার্যক্রম শুরুর জন্য বলেছেন। দ্রুতই মশক নিধন কার্যক্রম করা হবে বলে তিনি জানান।
×