ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুরে বিয়ের প্রলোভনে গৃহকর্মী অন্তঃসত্ত্বা

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ৮ মার্চ ২০২০

সৈয়দপুরে বিয়ের প্রলোভনে গৃহকর্মী অন্তঃসত্ত্বা

সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, নীলফামারী, ৭ মার্চ ॥ বিয়ের প্রলোভনে শেফালী আক্তার রিয়া (২২) নামের এক গৃহকর্মীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে বিয়ের দাবি জানালে ধর্ষক তাকে বিভিন্ন স্থানে রেখে হত্যার চেষ্টা করে। এমন অভিযোগে শনিবার দুপুরে সৈয়দপুর থানা পুলিশ আফজাল হোসেন (বিপ্লব) (৪৯) নামের ওই ধর্ষককে গ্রেফতার করে নীলফামারী হাজতে প্রেরণ করেছেন। রিয়ার অভিভাবক জানান, শহরের পৌর ১১নং ওয়ার্ডের নতুন বাবু পাড়ার তালেব কোয়াটার সংলগ্ন বাসিন্দা মৃত সানোয়ার হোসেনের ছেলে আফজাল হোসেন বিপ্লব ঢাকায় একটি বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন। সেখানে দির্ঘদিন ধরে গৃহকর্মীর কাজ করতেন গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার আঃ রশিদের মেয়ে শেফালি আক্তার রিয়া। ওই বাড়িতে বিপ্লবের পরিবারের অন্যন্য সদস্যরাও বসবাস করতেন। ৩ বছর আগে বিপ্লবের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর নিজের চাহিদা মেটাতে গৃহকর্মী রিয়াকে প্রলোভন দেখিয়ে ভোগ করেন। এভাবে বিপ্লব তার লালসা মেটান। তবে এরইমধ্যে রিয়া ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। খবর জানার পর বিপ্লব রিয়াকে নিয়ে সৈয়দপুর শহরের বাড়িতে নিয়ে তাকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার পরামর্শ দেয়। এতে রিয়া রাজি না হলে নিজেকে বাঁচাতে বিপ্লব বাড়ির পাশে আত্মীয়ের বাড়িতে গৃহবন্দী করে রাখেন। সপ্তাহ খানেক আগে মেয়েটিকে হত্যার উদ্দেশে শহরের রেলওয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন একটি বাড়িতে আটকিয়ে রাখা হয়। এলাকাবাসী সেখান থেকে উদ্ধার করে বিপ্লবের ওই আত্মীয়ের হাতে তুলে দেয়। ৫ মার্চ রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় সৈয়দপুর রেল স্টেশনের আই ডাব্লু অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে কয়েকজন পথচারী গায়ে কেরোসিন মাখা ও হাত, পা এবং মুখ বাঁধা অবস্থায় রিয়াকে উদ্ধার থানা পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়। সৈয়দপুর থানা পুলিশ ওই রাতেই অসুস্থ রিয়াকে সৈয়দপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। একদিন পরেই সেখান থেকে নীলফামারী সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এবং ওই রাতেই অন্তঃসত্ত্বা শেফালি আক্তার রিয়া বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় ২০০০ সালের নারী নির্যাতন দমন আইনের ৯/১, ৩০৭, ৫০৬, ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
×