ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চারজনের নামে মামলা

সাতক্ষীরায় অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ রত্নার মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৯:২০, ৬ মার্চ ২০২০

  সাতক্ষীরায় অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ রত্নার  মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ দীর্ঘ ১৩ দিন ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে জীবনমৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে জীবনযুদ্ধে হেরে গিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ ফারহানা আক্তার রত্না। বুধবার বিকেলে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ জেলার তালার গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে তার সাবেক স্বামী ও সহযোগীরা তার ভাড়া বাড়ির ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যায়। শরীরের বেশিরভাগ পুড়ে যাওয়া রত্না এর পর থেকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিল। গৃহবধূ রত্না জেলার তালা উপজেলার পাইকগাছার মালোত গ্রামের রোকন সরদারের মেয়ে ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের হাসিবুর রহমান সবুজের স্ত্রী। তারা তালা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের অসীম সাধুর বাড়িতে ভাড়া থাকত। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নিহত রত্নার বাবা রোকন সরদার বাদী হয়ে তার সাবেক স্বামী মিজানুর রহমানসহ ৪ জনের নামে তালা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। রোকন সরদার জানান, তার মেয়ে ফারহানা আক্তার রতœার (২৪) সঙ্গে ২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথমে খুলনা জেলার ভরতভায়না গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয়। স্বামীর সঙ্গে যৌতুক নিয়ে বিরোধে রতœাকে তালাক দেয়া হয়। এরপর কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে হাসিবুর রহমানের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তারা তালা ব্রিজ সংলগ্ন মোবারকপুরের অসীম সাধুর বাড়িতে ভাড়া থাকত। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বামী হাসিবুর মশার কয়েল আনতে দোকানে গেলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদের বসতঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যায়। আগুনে রত্নার সারা শরীর পুড়ে যায়। এসময় তার চিৎকারে বাড়ির মালিক ও মালিকের স্ত্রী মিলে তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তালা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রথমে খুলনায় ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন বুধবার সে মারা যায়।
×