ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বালু উত্তোলন ॥ ঝুঁকিতে ঘাঘট নদীর চরকাবাড়ি সেতু

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ৬ মার্চ ২০২০

 বালু উত্তোলন ॥ ঝুঁকিতে  ঘাঘট নদীর  চরকাবাড়ি সেতু

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৫ মার্চ ॥ ঘাঘট নদীর নাব্যতা আর গতিপথ ফেরাতে দুই কিলোমিটার পুনর্খনন কাজ শুরু করেছে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মধ্যবর্তী সীমানা দিয়ে বয়ে চলা ঘাঘট নদীর নাব্যতা ফেরাতে পুনর্খনন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নদীর ৫০ শতাংশ খনন শেষ করেছে নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে স্থানীয় লোকজন দাবি জানান, জরুরী ভিত্তিতে জিও বস্তার ডাম্পিং ও ব্লক নির্মাণ করে নদীর তীর ও সেতু রক্ষা করা হোক। উল্লেখ্য, ঘাঘট নদীর পুনর্খননের ফলে সম্পূর্ণ ঝুঁকিতে পড়েছে চরকাবাড়ি সেতু। সেতুর নিচ থেকে শ্যালো মেশিনে তৈরি ড্রেজার দিয়ে ভূ-গর্ভস্থ বালু উত্তোলন করায় পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। এমনকি সেতুর পূর্ব দিকের গাইড ওয়ালের নিচের অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। উপরের গার্ডার ও একটি পিলার দেবে গেছে। এছাড়াও পিলারের নিচ থেকে পানির স্রোতে মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গত বছরের বন্যায় পানির চাপে এমনিতেই ব্রিজের পূর্ব দিকের সংযোগ সড়কটি দেবে গেছে। সে সময় বালুর বস্তা ফেলে ব্রিজ রক্ষার চেষ্টা করে মিঠাপুর এলজিইডি। কিন্তু পূর্ব থেকেই ঝুঁকিতে থাকা চরকাবাড়ি সেতুটির নিচ থেকে বালু উত্তোলনের কারণে এখন আরও বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে বন্যার সময় ব্রিজ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। কিন্তু সেতু রক্ষায় কেউ কারও দায় নিতে চাইছে না। পাউবো বলছে, শুধু নদী খনন করা তাদের কাজ। এর বাইরে কোন প্রকল্প না থাকায় তাদের কিছুই করার নেই। আর এলজিইডি বলছে, নদীর তীর রক্ষার দায়িত্ব পাউবোর। কাজেই ঘাঘট নদীর পুনর্খননের ফলে ঝুঁকিতে থাকা সেতু তাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। অনেকটা ঝুঁকিতে থাকা সেতু অরক্ষিত রেখেই দায়সারা খনন কাজ শেষ করতে চাইছে পাউবো ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এমন দায়সারা দায়িত্বে সেতু ও খননের পর নির্মিত নদীর তীর দুটোই হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও আশপাশের গ্রাম ও ফসলি জমি রক্ষা করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
×