ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত দল ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:২১, ৩ মার্চ ২০২০

বিএনপি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত দল ॥ তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ‘বিএনপি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত দল’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার দুপুরে রাজধানীর বেইলীরোডে অফিসার্স ক্লাবে দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিবের ‘সরকার দেশে লুটপাটের রাজত্ব করছে’-এমন মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। ড. হাছান বলেন, তিনি (মির্জা ফখরুল) যে দল করেন, সে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশে এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। বিভিন্ন অপরাধ প্রমাণে তার যাবজ্জীবন কারাদ- হয়েছে। তাদের দলের চেয়ারপার্সন বেগম জিয়া নিজে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ অর্থাৎ অপ্রদর্শিত কালো টাকা জরিমানা দিয়ে সাদা করেছেন। দেশ থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে তার প্রয়াত পুত্র কোকোর পাচারকৃত টাকা সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। তারেক ও কোকোর দুটি ঘটনাই বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা উদ্ঘাটন করেছে, বাংলাদেশ সরকার নয়। তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের নিজের দলই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। ক্ষমতায় থাকাকালে তারা হাওয়া ভবন তৈরি করে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করছিলেন এবং হাওয়া ভবনের মূল কাজটা ছিল সব ব্যবসায় দশ পার্সেন্ট টোল বসানো, যেটি সমগ্র দেশের মানুষ জানে। সেকারণে তিনি যে কথাগুলো বলেছেন, সেগুলো আসলে তাদের দলের বেলায়, তাদের নেতৃত্বের বেলায়ই প্রযোজ্য। আমাদের সরকার সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করছে বিধায় দেশে উন্নতি হয়েছে, অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেখানে মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলার, সেটি এখন ২০০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আমরা অর্থনৈতিক, মানবউন্নয়ন, সামাজিক সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি। পাকিস্তান সেজন্য আক্ষেপ করে। তাদের (বিএনপি’র) সময় তারা দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার দেশকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছেন। বিএনপি মহাসচিবের অপর বক্তব্য -‘সরকার যদি হস্তক্ষেপ না করত, তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আরও আগেই হয়ে যেত’ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আদালতে সরকার কখনই হস্তক্ষেপ করেনি এবং করে না। উচ্চ আদালতে তারা বারংবার জামিন চেয়েছে কিন্তু পায়নি। তিনি রাজনৈতিক বন্দী নন, তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য তারা জামিন চাচ্ছে, সেখানে চিকিৎসকদের রিপোর্ট হচ্ছে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল হাসপাতালে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এবং আরও যে জটিলতাগুলো তারা উল্লেখ করেছে সেসব সেবা সেখানেই দেয়া সম্ভব। সুতরাং সেই বিবেচনায় আদালত জামিন দেয়নি। এটা আদালতের এখতিয়ার। আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন বিধায় আমাদের দলের মন্ত্রীদেরও আদালতে হাজিরা দিতে হয়, এমনকি আমাদের দলের এমপিরা দুদকের মামলায় জেলেও গেছেন, আমাদের দলের প্রাক্তন দুদফা মন্ত্রী এমন অনেককে জেলে যেতে হয়েছে, সুতরাং আদালত এখানে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান। তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বহুমাত্রিক সমাজে বিশ্বাসী। আমরা মনেকরি, বিতর্কভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশকে বহুদূর এগিয়ে নেয়া সম্ভব। বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক উন্নত দেশের তুলনায় অনেক বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করছে, স্বাধীনতা ভোগ করছে। যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখন গণমাধ্যমের বরং এই স্বাধীনতা ছিল না। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান, ডিবিসি২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রখ্যাত চিত্রতারকা রোজিনা, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম এনামুল হক, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রমজানুল হক, দৈনিক সময়ের আলো’র প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কমলেশ রায়, চিত্রতারকা অরুণা বিশ্বাস প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
×