ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৮:৪৩, ৩ মার্চ ২০২০

ঢাকার দিনরাত

স্বাধীনতার মাস শুরু হলো। এই মাসে আমরা কিছুটা আবেগপ্রবণই থাকি। এবারের মার্চ মাসটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ যে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। তারও আগে আছে ৭ মার্চ। পুরো মার্চেই থাকবে উৎসব, শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং স্মৃতিচারণ। প্রাসঙ্গিক কিছু কথা তাই শুরুতেই বলা দরকার। রাজনীতির কবি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর সাতই মার্চের ভাষণ কবিতারই মতো স্পষ্ট ও সঙ্কেতময়, দ্রোহ ও দেশপ্রেমের রসে সিক্ত। নেতাকে যাঁরা কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন তাঁদের অবলোকন তরুণ প্রজন্মকে সাহায্য করতে পারে নেতার প্রতিকৃতি নির্মাণে। কর্মসূত্রে, রাজনৈতিক সূত্রে বা কোন না কোনভাবে বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে এসেছিলেন এমন বহু ব্যক্তিই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করেছেন। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে রচিত সেই সব স্মৃতিকথা অত্যন্ত মূল্যবান। সৃষ্টিশীল রচনার প্রয়োজনে সেই সব লেখা যে মহামূল্যবান উপাদান হয়ে উঠতে পারে সে কথা বলাই বাহুল্য। এক্ষেত্রে তাজউদ্দীনের ডায়েরির কথা প্রথমেই উল্লেখ করতে চাই। এ মুহূর্তে মনে পড়ছে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের ‘প্রথম দর্শনে বঙ্গবন্ধু’ বইটির কথা। আরেকজন সচিব মুহাম্মদ সিরাজুদ্দিন টুকরো টুকরো স্মৃতিকথা লিখেছেন। তিনি পূর্ণাঙ্গ স্মৃতিগ্রন্থ লিখলে বঙ্গবন্ধু আমলের প্রশাসনিক বহু অজানা কথাই মানুষ জানতে পারতেন। অতিরিক্ত নেতিবাচকভাবে প্রচারিত তিয়াত্তর চুয়াত্তরের দিনগুলো প্রকৃত সত্যের তরবারিতে ঝলসিত হয়ে ওঠা জরুরী। কারণ তাতে কাটা পড়বে বহু মিথ্যাচার। এখানে প্রয়াত কবি আবুল হোসেনের স্মৃতিকথা থেকে অংশবিশেষ উদ্ধৃত করতে চাই কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। এই লেখাটির প্রথম পাঠক এবং প্রথম প্রকাশকারী ছিলাম আমি। উল্লেখ করা অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে, বঙ্গবন্ধুর প্রায় সমবয়সী এই কবির জন্মদিন পনেরোই আগস্ট। কিন্তু পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্টের পর আর কখনই তিনি তাঁর নিজের জন্মদিন পালন করেননি। কবি আবুল হোসেন লিখেছেন : ‘প্রতিষ্ঠার দেড়-দু’বছরের মধ্যেই পাকিস্তান সম্পর্কে মোহভঙ্গ ঘটে পূর্ববঙ্গের। বিরোধীরা আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করে সরকারী মুসলিম লীগের বিপরীতে। ভাসানী তার সভাপতি, শেখ মুজিব যুগ্ম সম্পাদক। বিরোধী দলগুলো শেরেবাংলা ফজলুল হক ও শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর নেতৃত্বে সম্মিলিত হয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে ১৯৫৪ সালে। প্রাদেশিক সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে। পরিষদের গরিষ্ঠ দল যুক্তফ্রন্টের নেতা ফজলুল হক যে মন্ত্রিসভা গঠন করেন তার কনিষ্ঠতম সদস্য ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার যে মন্ত্রিসভাকে ১৫ দিনের বেশি টিকতে দেয়নি। দেশদ্রোহের অভিযোগ তুলে তার প্রধান শেরেবাংলাকে বরখাস্ত করে শেখ মুজিবকে পাঠায় জেলে। এর আগেও একাধিকবার তার জেল হয়েছে। পরে যদিও তিনি একবার প্রাদেশিক মন্ত্রী হয়েছেন, বছরখানেকের জন্য, জেল খেটেছেন বহুবার। ষাটের দশকের শুরুতে বিদেশে চাকরি করতে যাওয়ার সময় দেখে যাই তার রাজনৈতিক জীবনের অত্যাশ্চর্য রূপান্তর। জেলের ভাত আর সরকারের তাড়া খেতে খেতে কিভাবে এক তরুণ একগুয়ে ছাত্রনেতা দেড় দশকের মধ্যে তার সমসাময়িক সতীর্থ এবং অনেক সহযাত্রীকে রাজনীতির ময়দানে পেছনে ফেলে, নয়ত মিইয়ে যেতে দিয়ে উঠে এসেছেন এক আপোসহীন চড়া গলার নেতার আসনে। সাড়ে ছয় বছর পরে যখন দেশে ফিরে এলাম তখন তিনি পূর্ব পাকিস্তানের একচ্ছত্র নেতা। সরকারের বিপক্ষে।’ শেষ হলো বইমেলা শেষ দিন আগেভাগেই গিয়েছিলাম বইমেলায়। এতে কোনই সন্দেহ নেই যে এই শেষ দিন প্রায় প্রত্যেকেই ঘরে ফিরেছেন নতুন বই হাতে। আবার অনেকে কয়েকটা প্যাকেট নিয়েও মেলা ত্যাগ করেছেন। বেরুনোর সময় এক ভ্যান ভর্তি বই আটকে দিলেন পুলিশ। তার কারণ আছে। মেলা শেষ হওয়ার পরের দিন প্রকাশকরা বইমেলা থেকে তাদের বইয়ের ভা-ার সরানোর সুযোগ পাবেন, তার আগে নয়। ভ্যানভর্তি বই বেরুনোর কোনো সুযোগই নেই। কিন্তু ভ্যানের সঙ্গে থাকা লোক ক্যাশমেমো দেখিয়ে জানালেন এসব বই তিনি কিনেছেন। আরেকজন সে সময়ে মন্তব্য ছুঁয়ে দিলেন, ও বুঝেছি, আপনারা অনলাইনে বই বিক্রির ব্যবসা করেন। তাই এত বই কিনে নিচ্ছেন। বছরভর হাতের কাছে বই সুলভ থাকে না। সে জন্য অনেকেই বইমেলাকে সারা বছরের বই সংগ্রহের পীঠস্থান ভেবে বই সংগ্রহ করেন। তা ছাড়া শতকরা ২৫ ভাগ ছাড় মেলে বইয়ের দামে। দেশে বই নিয়ে কাজ করা সরকারী প্রতিষ্ঠান জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মহাপরিচালককে পেয়েছিলাম একটি টিভি টক শোতে। তাকে বলেছিলাম রকমারি ডটকম বই পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয় অর্থের বিনিময়ে। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান নয়। কিন্তু তারা পাঠকদের নামের তালিকা করতে পারে, নতুন বইয়ের তথ্যভা-ার গড়ে তুলতে পারে এবং পাঠকের কাছে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে নতুন বইয়ের যাবতীয় তথ্য পৌঁছোনোর উদ্যোগ নিতে পারে। পাঠক বা ক্রেতা সেই তথ্য যাচাই-বাছাই করে নিজ উদ্যোগে বই সংগ্রহ করবেন। কাছে-পিঠের দোকানে কাক্সিক্ষত বই না মিললে তিনি অন্তত সেই দোকানিকে অনুরোধ করতে পারেন, প্রিঅর্ডার দিতে পারেন। মহাপরিচালক মহোদয় সুস্পষ্ট কোন জবাব না দিলেও তিনি বলেছেন, আর ভাল কিছু করার চিন্তা-ভাবনা তাদের আছে। আমরাও আশায় বুক বাঁধলাম। বইমেলা শেষের পরে বই বিক্রির হিসাব ওঠে স্বাভাবিকভাবেই। এখানে তথ্য গোপন, তথ্য বিকৃতির খেলাও চলে। একজন জনপ্রিয় লেখক প্রতিক্রয়ায় লিখলেন : ‘বইমেলায় ৮২ কোটি টাকা বিক্রি হয়েছে শুনে কপালে চোখ ওঠার কী হলো। ১৫% রয়ালটি হলে ১২ কোটি টাকা রয়্যালটি আসবে। লেখকের সংখ্যা কম করেও ১২ হাজার। প্রত্যেকে গড়ে পাবে ১০ হাজার টাকা। হায়, ১০ হাজার লেখক ১২ কোটি টাকা ভাগ করে নেবেন, আর পাপিয়া শুধু এমপি হওয়ার ব্যর্থ সোনার হরিণের জন্য ১০ কোটি টাকা এক মৌসুমেই খরচ করে। এক লোক সোনালী ব্যাংক থেকে তুলে নেয় দুই হাজার কোটি টাকা। আরেকজন চার হাজার কোটি টাকা নিয়ে বিদেশ চলে যায়। আর আমরা ১২ হাজার লেখক মিলে ১২ কোটি টাকা পাব বলে হিসাব করি, সেই রয়্যালটিও ১০০ জনের বেশি লেখক পান না। অন্তত টাকার জন্য লিখবেন না। উদাহরণ দেব। ধরা যাক, আমার একটা বই বেরিয়েছে যার দাম ১২০ টাকা। এটা প্রতি কপির জন্য আমি রয়্যালটি পাই ১৮ টাকা। তিন হাজার বই বিক্রি হলে আমি পাব ৫৪ হাজার টাকা। এই বই লিখতে আমার লাগবে এক মাস। প্রুফ দেখো, প্রচ্ছদ বাছো- যন্ত্রণা আরেক মাস। তারপর বইমেলায় রোজ যাও। অটোগ্রাফ দাও। ফটোগ্রাফ দাও। ধুলা খাও। এর বদলে আমি যদি কোন সাবান কোম্পানির হাত ধোয়ার অনুষ্ঠানে গিয়ে ৫ মিনিটের জন্য হাত ধুই, আমি পাব ৫০ হাজার টাকা। বিপিএলে একবার হিসাব করে দেখেছিলাম, একজন বোলার প্রতি বলের জন্য এক লাখ টাকা পেয়েছিলেন। কাজেই কেউ ভাববেন না, আমি টাকার জন্য লিখি। বই লিখে কমই টাকা পাওয়া যায়। বোঝেন, ১২ হাজার লেখকের সারা বছরের আয় ১২ কোটি টাকা। ১০০ জন ভাগ করে নিলেও তো প্রত্যেকের ভাগে ১২ লাখের বেশি আসে না। মাসে এক লাখ টাকা। আমাদের বহু ব্যাঙ্কার, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে মাসে বেতন আছে ৫ লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা মাসে। গরিবেরাই লেখক হয়, লেখকরাই গরিব হয়। তবে বিক্রি অবশ্যই ২০০ কোটি টাকার বেশি হয়েছে। আমি হিসাব করে দিতে পারব। বিক্রেতারা স্বীকার করবেন না। অসুবিধা আছে।’ ভবনে আগুন! জনকণ্ঠ ভবনের কাছেই দিলু রোড। সেই দিলু রোডের একটি আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে শিশুসহ মানবমৃত্যু কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। এই ট্র্যাজেডি কয়েকটি জরুরী বিষয় আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। প্রথমত, আবাসিক এলাকায় কোনক্রমেই বাণিজ্যিক কর্মকা- চলতে পারে না। কল-কারখানা, বায়িং হাউস, গুদাম ঘরÑ এসব সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য। দ্বিতীয়ত, যে কোন বহুতল ভবনের বেলাতেই কিছু সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। যেমন অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকতেই হবে। তৃতীয়ত, বহুতল ভবনের সামনের সড়ক প্রশস্ত হতে হবে যাতে কোন কারণে আগুন লাগলে আগুন নেভানোর কর্তৃপক্ষ এবং এ্যাম্বুলেন্স সেখানে সহজে ও দ্রুত যেতে পারে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো এই তিনটি বিষয়েই ওই ভবনটিতে গুরুতর অনিয়ম ঘটেছে বা স্বাভাবিক, সঙ্গত সাবধানতা অবলম্বনের রীতিটি লঙ্ঘন করা হয়েছে। আশঙ্কার বিষয় এটাই যে ঢাকার প্রতিটি এলাকাতেই এমন গুরুতর অনিয়ম ঘটে চলেছে এবং বেশিরভাগ বহুতল ভবনই অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। আর কতদিন মানুষকে জিম্মি করে ভবন-ভাড়ার নামে ব্যবসা চালু থাকবে? ওই ভবনের দারোয়ান গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, বাসার নিচে গ্যারেজ থেকে আগুন লাগে। সেখানে পাঁচটা গাড়ি ছিল। আগুন গাড়িগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর ও এলাকাবাসীর ধারণা শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের পর ধোঁয়া ওপরের দিকে উঠে যায়। ভবনের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। এই বয়ান থেকে এটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে কোন কারণে একবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে সেটি ছড়িয়ে পড়তে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর জীবন চূড়ান্তভাবে বিপন্ন করে তুলতে বেশি সময় লাগে না। আবারও ছিনতাইকারী হন্তারক! মাঝে কিছুদিন কিছুটা কম ছিল। আবার শুরু হয়েছে তাদের দৌরাত্ম্য। হ্যাঁচকা টানে শুধু ব্যাগ নয়, প্রাণও কেড়ে নিল এক তরুণীর। রাজধানীর দক্ষিণ মুগদা এলাকায় প্রাইভেট কারে থাকা ছিনতাইকারীর টানে রিক্সা থেকে পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে ছেলেকে নিয়ে রাজারবাগ বাটপাড়া থেকে রিক্সায় করে কমলাপুরের দিকে ফিরছিলেন লিপা। দক্ষিণ মুগদা ইউনিক বাস কাউন্টারের সামনের রাস্তায় চলন্ত রিক্সায় থাকা অবস্থায় কয়েক ছিনতাইকারী তাঁর ব্যাগ ধরে টান দেয়। এ সময় তিনি রিক্সা থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় মুগদা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। নিহতের স্বামী সংবাদকর্মীদের জানান, এসএসসি পড়ুয়া ছেলে ও সাত বছরের মেয়েকে নিয়ে তাঁরা রাজারবাগ আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে দুটি আলাদা রিক্সায় করে ফিরছিলেন তাঁরা। স্ত্রী সঙ্গে ছেলেও রিক্সায় ছিল। প্রাইভেট কারে থাকা ছিনতাইকারীরা তাঁর স্ত্রীর ব্যাগ ধরে হ্যাঁচকা টান দিলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। ছিনতাইকারীরা ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ব্যাগে একটি মোবাইল ফোন ও দুই হাজারের মতো টাকাও ছিল। এ রকম হ্যাঁচকা টানের শিকার হন ঢাকাবাসী। আমি নিজেও একজন ভুক্তভোগী। ভাগ্যিস আমার কাঁধ থেকে সহজেই খসে পড়েছিল ব্যাগ। যদি গলার ভেতরের দিকে ক্রস করে ঝুলিয়ে রাখতাম তা হলে নির্ঘাত রাস্তায় পড়ে যেতাম, আর সে সময়ে পেছন থেকে যদি কোন দ্রুতগতির বাস আসত... না আর ভাবতে পারি না। এদের ব্যাপারে পুলিশের বিশেষ অভিযান চায় নগরবাসী। উত্তরায় গ্যাসলাইন ফেটে... শুক্রবার উত্তরাবাসীর জন্য ছিল বিড়ম্বনাময় একটি দিন। হাউজ বিল্ডিং বাসস্ট্যান্ডের কাছে সেদিন সকালে বিআরটি প্রকল্প নির্মাণ কাজ চলাকালে গ্যাসলাইন ছিদ্র হয়ে প্রচণ্ড বেগে গ্যাস নির্গত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে ওই পাইপ লাইনে আগুন ধরেনি। খবর পেয়ে উত্তরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেন। এক পর্যায়ে দমকল বাহিনী ও পুলিশ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এক পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। দুপুরে আমাদের মতো নিশ্চয়ই বহু মানুষ ফ্রিজে রাখা খাবার মাউক্রোওভেনে গরম করে খেয়েছেন। যাদের ফ্রিজে খাবার ছিল না, কিংবা যাদের ফ্রিজই নেই, তাদের কথা ভাবতেই পারছি না। হোটেল- রেস্টুরেন্টগুলোর বেশিরভাগই বেকার বসে ছিল। যাদের এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার রয়েছে তারাই শুধু ছিল সেদিন ভাগ্যবান। ভাবছিলাম, এমন দুর্দিনে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা কেন কোন দায়িত্ব পালন করেন না? ১ মার্চ ২০২০ [email protected]
×