ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নেই সিসি ক্যামেরা

দীর্ঘ আন্দোলনের পরও জবিতে নেই কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ১০:০৮, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

  দীর্ঘ আন্দোলনের পরও জবিতে নেই কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা

জবি সংবাদদাতা ॥ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর দ্বিতীয় গেট অবৈধ দখলমুক্ত হলেও এখনও লোহার ফটক লাগানো হয়নি। এমনকি নিরাপত্তার জন্য নেই কোন সিসি ক্যামেরা। একমাত্র নাইট গার্ডই শেষ ভরসা। এতে করে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। দ্বিতীয় ফটকে কোন ধরনের লৌহ কপাট না থাকায় অনায়াসে যে কেউই ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারছেন। এতে ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তায় বিঘœ ঘটছে। এর ফলে, বেড়েছে ছিনতাই হওয়ার সম্ভাবনা। বেশ কিছুদিন আগেই এ গেট দিয়ে সাইকেল ও মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলেও জানা যায়। এ ফটকের কিছুটা দূরে ‘বাহাদুর শাহ’ পরিবহনের যাত্রী ওঠা-নামা করায় সার্বক্ষণিক যানজট প্রতিদিনের ঘটনা। এর ফলে, শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ফটক দিয়ে চলাচলের বাড়তি সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত নতুন ভবন মেরামতের নামে ক্যাম্পাসের এই গেটটি সম্পূর্ণ অব্যবহৃত অবস্থায় ছিল। এতে করে গেটের সামনের অংশটি ‘বাহাদুর শাহ’ লেগুনা স্ট্যান্ডের পার্কিংয়ের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। এই জায়গায় দিনে-দুপুরে শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে ছাত্রীদের যাওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে সহজে প্রবেশ করার জন্যই দ্বিতীয় ফটকটি উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু বেশকিছু সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা কাক্সিক্ষত সুবিধা আদায়ে বঞ্চিত হচ্ছি। এছাড়া লোহার গ্রিল না থাকায়, সহজেই বাইরের লোকজন ঢুকে যাচ্ছে। এতে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, এজন্য প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যতদ্রুত সম্ভব লৌহ ফটক লাগিয়ে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত প্রশাসনের। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন, স্মারকলিপি ও আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্বিতীয় গেট উন্মুক্ত করতে দাবি জানিয়ে আসছিল শিক্ষার্থীরা। আশানুরূপ ফল না পেয়ে ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ঝালাইলকৃত টিনসমেত বন্ধ কপাট ভেঙ্গে গেটটি উন্মুক্ত করে এবং দীর্ঘদিন ধরে গেট দখল করে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় এই গেটের সামনে অবস্থিত লেগুনা স্ট্যান্ড ও টং দোকান অপসারণ করা হয়। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নতুন লৌহ কপাট নির্মাণ করে গেটে লাগানোর দাবি তুললে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গেটের সঙ্গে গ্রিল লাগানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাজনিত যে কোন বিষয়ে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখি। খুব দ্রুতই আমরা নতুন ফটক লাগানোর বিষয়ে কাজ করব।
×