ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আদা রসুন পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আদা রসুন পেঁয়াজের দাম

গত বছরের শেষ নাগাদ থেকে পেঁয়াজের মূল্যের যে উর্ধগতি এখনও তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। নতুন পেঁয়াজ ওঠার আগে এ নিত্য ভোগ্যপণ্যটির সঙ্কট দেখা দিলেও ভারত, চীন ও অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ মূলত উপস্থিত ঘাটতিকে সামলেয়ে নেয়। গত বছর ভারতের বন্যাপ্লাবিত এলাকায় পেঁয়াজের স্বল্পতা এবং রফতানি বন্ধে মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাময়িকভাবে দেশে তার প্রভাব পড়তে সময় লাগেনি। পেঁয়াজের দুর্মূল্যের এমন দুঃসময়ে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রচারিত হয় এক শ্রেণীর অসাধু পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের পকেটে কোটি কোটি টাকা চলে যাচ্ছে। অনেক পচা পেঁয়াজ গুদাম থেকে বের করে নদী অথবা সমুদ্রে ফেলে দেয়ার খবরও আছে। এসব ক্রান্তিকাল পার করতে না করতেই বাজারে দেখা মেলে নতুন পেঁয়াজ। তবে দাম কমতে বেশ সময় লাগে। পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১৫০ টাকার নিচে কখনোই নামেনি। বরং তা আবার উর্ধগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে উপস্থিত হয়েছে চীনের করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। সঙ্গত কারণেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সীমানায় চীনের পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলে তা বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের ওপরও বেশ প্রভাব বিস্তার করে। এবার শুধু পেঁয়াজ নয়, চীন থেকে আমদানিকৃত আদা-রসুনের দামও বাড়তে থাকে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চীনের পণ্য আনতে না পারার কারণে দেশের নিত্য ভোগ্যপণ্যের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অবশ্য আমদানির চাইতেও বেশি ক্ষমতাধর দেশের ব্যবসায়ীদের কঠিন সিন্ডিকেট। যারা অকারণে, অপ্রয়োজনে তাদের মুনাফার স্বার্থে খাদ্য পণ্যকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ ও বিপন্ন করে তোলে। বাংলাদেশে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে। সাধারণ মানুষের নৈমিত্তিক চাহিদা মেটাতে অনেকটাই সক্ষম। সামান্য ঘাটতি থাকলেও শুধু চীন কেন, আরও অনেক দেশ থেকে পেঁয়াজ, আদা-রসুন আমদানি করা যায়। সুতরাং চীন থেকে পেঁয়াজ আনতে না পারলেও অত্যধিক মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিক কোন কারণ থাকার কথা নয়। তারপরেও এই মুহূর্তে বাজারে পেঁয়াজ আদা ও রসুনের অগ্নিমূল্য। চাল-চিনি-লবণ থেকে শুরু করে ভোজ্য তেলের দামের বাজারও এখন অনেকটাই অস্থিতিশীল। মাছ-মাংসের দামও বাড়তির দিকে। আসন্ন রমজানের আগে ভোগ্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে রাখার জন্য সরকার তথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এখনই তৎপর হতে হবে জরুরীভিত্তিতে।
×