ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আজ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস

প্রকাশিত: ২৩:৪৪, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আজ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস

অনলাইন রিপোর্টার ॥আজ ৫ ফেব্রুয়ারি, জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে এ দিনটিকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ২০১৮ সালে দেশে দিবসটি প্রথম পালিত হয়। দিবসটি পালনে গণগ্রন্থাগার অধিদফতর বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি আলোকিত মানুষ সৃষ্টিতে গণগ্রন্থাগার অধিদফতরসহ সৃজনশীল চর্চার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জ্ঞানভিত্তিক আধুনিক সমাজ বিনির্মাণে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তথ্য প্রযুক্তির যুগেও বিশ্বব্যাপী জ্ঞানার্জনের অন্যতম সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রন্থাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, গণগ্রন্থাগারে পাঠকসেবা, তথ্যসেবা, গবেষণা কার্যক্রমসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য সেবা প্রাপ্তির বাধাহীন সুযোগ থাকায় গণগ্রন্থাগারকে জনগণের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা, ব্যবহার এবং উপকারিতা বিষয়ে জনগণের মাঝে ব্যাপক সচেতনতার সৃষ্টি করবে।’ তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞানার্জন, গবেষণা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মূল্যবোধের বিকাশ, সংস্কৃতিচর্চা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের জনসমষ্টিকে সমৃদ্ধ ও জ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অন্যান্য খাতের পাশাপাশি গ্রন্থাগার সংশ্লিষ্ট ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।’ দেশের প্রতিটি সরকারি গণগ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার সংযোজন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের অনলাইন ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে অনলাইন গ্রন্থাগার সেবা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে পাঠক বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের বই সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারবে।’ স্কুল পর্যায়ে লাইব্রেরি-ঘণ্টা চালুর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের মাধ্যমে গণগ্রন্থাগার অধিদফতর বই নিয়ে প্রতিটি জেলার পাঠকের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। গ্রন্থাগারের জনবলকে দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘শাহবাগে গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে উন্নত ও আধুনিক গ্রন্থাগারসেবা সম্প্রসারণ করা হবে। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমাধিসৌধ গ্রন্থাগারটিকে একটি আধুনিক দৃষ্টিনন্দন গ্রন্থাগার হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।’
×