ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে ভাসানী হল চার বছর ধরে পরিত্যক্ত

প্রকাশিত: ১২:১১, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

টাঙ্গাইলে ভাসানী হল চার বছর ধরে পরিত্যক্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৩ ফেব্রুয়ারি ॥ টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ভাসানী হল দীর্ঘ চার বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সংস্কৃতি চর্চার প্রধান কেন্দ্র বিন্দু ভাসানী হলে বর্তমানে ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সংস্কৃতিচর্চা ও বিনোদন। অথচ এটি সংস্কারের বা পুনর্নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। এটি দ্রুত ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে আধুনিক হল নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন জেলার সংস্কৃতিকর্মীরা। ভাসানী হল এখন মাদকসেবীদের আড্ডাখানা ও পানপাতা ব্যবসায়ীদের প্রধান হাট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৯৭৬ সালের (১৬ আগস্ট) ‘টাঙ্গাইল টাউন হল’ নামে এই হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতির শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আবুল ফজল। এরপর ১৯৭৮ সালের (২ এপ্রিল) তৎকালীন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার খানে আলম খান আনুষ্ঠানিকভাবে এই হলের উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে এ হলটি মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নামে ‘ভাসানী হল’ নামকরণ করা হয়। এরপর থেকেই এটি ভাসানী হল নামে পরিচিত হয়ে আসছে। সংস্কারের অভাবে হলটি ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ায় প্রায় চার বছর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় এই ঐতিহাসিক বিনোদনের একমাত্র মিলনায়তনটি। এক সময় যে জায়গাটি থাকত সংস্কৃতিকর্মীদের পদচারণায় মুখর, তা এখন পরিণত হয়েছে ‘ভুতুড়ে বাড়িতে’। সেখানে এখন জমে উঠেছে পানপাতা বিক্রির হাট ও মাদকসেবীদের আড্ডাখানায়। টাঙ্গাইলের সংস্কৃতিকর্মীরা বলেন, এক হাজার আসন বিশিষ্ট এই মিলনায়তনটিতেই জেলার সব সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান পরিচালিত হতো। শুধু তাই নয়, এই মিলনায়তনটি ঘিরেই নাট্যচর্চাসহ সংস্কৃতিকর্মীদের নিয়মিত আড্ডা বসত। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে এর চত্বরে হতো বইমেলা। এখানে ঈদের সময় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কনসার্টের আয়োজন করত। এছাড়াও এই ভাসানী হলে জেলার অনেক রাজনৈতিক সভা-সমাবেশও অনুষ্ঠিত হতো।
×