সম্রাট আকবর আমলের পবিত্র কোরান উদ্ধার

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানে উদ্ধার করা হয়েছে মোঘল সম্রাট আকবরের আমলের পবিত্র কোরান। জানা গেছে, পবিত্র এই কোরান সোনালি হরফে লেখা। পাচারের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর বিবিসির। রাজস্থান পুলিশ জানিয়েছে, আনুমানিক ১৬ কোটি রুপী দামের কোরানটি বাংলাদেশে পাচার করার চেষ্টা হচ্ছিল। তবে সেটি বাংলাদেশে কার কাছে পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল, তা জানতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে জেরা করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে এক হাজার ১৪ পাতার ওই কোরানটি গত বছর ডাকাতি করে ছিনিয়ে নেয় তিন ব্যক্তি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে দু’জনকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার কোরানসহ গ্রেফতার করা হয় তৃতীয় জনকে। জয়পুর উত্তরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাজীব পাচার জানান, গত বছর ভিলওয়ারা জেলার এক বাসিন্দা যোগেন্দ্র সিং মেহতা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে তার হেফাজতে থাকা একটি বহুমূল্যবান কোরান কয়েকজন ব্যক্তি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। মেহতার পূর্বপুরুষেরা সম্রাট আকবরের কাছ থেকে দান হিসেবে ঐতিহাসিক মণ্ডলগড় কেল্লা পেয়েছিলেন। সেখানেই সোনার অক্ষরে লেখা ওই কোরান শরীফটি তিনি পান। বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে তিনি সেটি বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। কোরানটি কেনার নাম করে ফাঁকা জায়গায় ডেকে নিয়ে গিয়ে সেটি ছিনতাই করা হয়। ওই ঘটনার পরে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কোরান শরীফটি তখন পাওয়া যায়নি। কয়েকদিন আগে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে যে একটি বহুমূল্য কোরান কেউ বিক্রি করার চেষ্টা করছে। বিশেষ তদন্ত দল তৈরি করে পুলিশই ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করে ভাঁওয়ারি মীনা নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। বৃহস্পতিবার সে ওই কোরানটি ক্রেতারূপী পুলিশের কাছে বিক্রি করতে গেলে হাতেনাতে তাকে ধরা হয়। জেরা করতেই ভাঁওয়ারি মীনা জানায় যে কোরানটি বাংলাদেশে ১৬ কোটি রুপীতে বিক্রি করার চেষ্টা করছিল সে। তবে কার সঙ্গে সে যোগাযোগ করেছিল, সেটা এখনও বলেনি। আগেই গ্রেফতার হওয়া তার দুই সঙ্গীকেও জেল থেকে নিয়ে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হবে।