ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাপার মেয়র প্রার্থী মিলনের দিনভর শোডাউন

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ৩১ জানুয়ারি ২০২০

জাপার মেয়র প্রার্থী মিলনের দিনভর শোডাউন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারে শেষ দিনে দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক শোডাইন করেছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই খোলা জিপে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে রাজপথ ঘুরেছেন তিনি। দলের নেতাদের দাবি শেষ দিনে জাপার পক্ষ থেকে দক্ষিণ সিটির বেশিরভাগ এলাকায় গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন মিলন। এই বিবেচনায় মিলন জানিয়েছেন, আমি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। ইশতেহার দিয়েছি। ঢাকা নিয়ে আমার পরিকল্পনার কথা নগরবাসী তথা গোটা দেশের মানুষকে জানিয়েছি। আশাকরি ভোটাররা আমাকে বিমুখ করবেন না। নির্বাচিত হতে পারলে সকল প্রতিশ্রুতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে বলেও আশ^াস দেন পুরান ঢাকার এই ব্যবসায়ী। আগামীকাল সিটি নির্বাচনে দুই সিটিতে লড়ছেন নয় দলের ১৩ মেয়র প্রার্থী। ডিএসসিসিতে সাত মেয়র প্রার্থী হলেনÑ শেখ ফজলে নূর তাপস (আওয়ামী লীগ), ইশরাক হোসেন (বিএনপি), মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন (জাতীয় পার্টি), মাওলানা আবদুর রহমান (ইসলামী আন্দোলন), বাহরনে সুলতান বাহার (এনপিপি), আক্তারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ (বাংলাদেশ কংগ্রেস) এবং আবদুস সামাদ সুজন (গণফ্রন্ট)। ডিএনসিসির বৈধ ছয় মেয়র প্রার্থী হলেন- আতিকুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), তাবিথ আউয়াল (বিএনপি), আহমদ সাজেদুল হক (সিপিবি), শাহিন খান (পিডিপি), ফজলে বারী মাসুদ (ইসলামী আন্দোলন) এবং আনিসুর রহমান দেওয়ান (এনপিপি)। পুরো নির্বাচন ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। এবারে দুই সিটি নির্বাচনে প্রায় ৫৮ লাখ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। উত্তরে ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন এবং দক্ষিণে ২৭ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন ভোটার রয়েছেন। ডিএনসিসির ৫৪ ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি এবং ডিএসসিসির ৭৫ ওয়ার্ডে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ১২৪টি। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল দুই সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শেষ দিনের প্রচারে লাঙ্গলে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মিলন বলেন, আমি আপনাদের পরিচ্ছন্ন, দুর্নীতিমুক্ত ও বাসযোগ্য ঢাকা উপহার দেব। অতীতেও মানুষ লাঙ্গলে ভোট দিয়ে সুফল পেয়েছিল। এই মেগাসিটিকে বাসযোগ্য করতে হলে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে উন্নয়ন কমিটি করা হবে। অর্থাৎ সকলের মতামত নিয়ে আমরা ঢাকার জন্য পরিকল্পিত উন্নয়ন করব। যানজট, ড্রেনেজের অব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা, মশা, অবৈধ দখল, যেখানে- সেখানে আবর্জনা, পানি-বিদ্যুত-গ্যাসের ঘাটতি, বছর বছর ট্যাক্স বাড়ানোসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত। এসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় সব ধরনের করণীয় ঠিক করা হবে। নগরবাসী নিয়মিত ভ্যাট-ট্যাক্স দিলেও প্রয়োজনীয় নাগরিক সেবা তারা পান না। সকালে লালবাগের আমলীগোলা থেকে শুরু করে বিশটিরও বেশি জিপ, মাইক্রো, খোলা পিকআপে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বাটার, হাজারীবাগ, মসজিদ, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, বিডিআর কলোনি, জিগাতলা, ধানম-ি, এলিফ্যান্ট রোড, হাতিরপুল, বাংলামটর, মগবাজার, মৌচাক, শাহাজাহানপুর, শান্তিনগর, কাকরাইল, পল্টন, গুলিস্তান, ফকিরাপুল, মতিঝিল, বংশাল, চকবাজার, রহমতগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ করেন। তবে বরাবরের মতো প্রচারে শেষ দিনেও মিলনের সঙ্গে দলের কোন কেন্দ্রীয় বা মহানগরের নেতাকে দেখা যায়নি। হাসপাতালে ভর্তি রিজভী স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের সামনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে মিছিলে অংশ নিয়ে তিনি হামলার শিকার হন বলে রিজভী নিজেই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত তিনি কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রিজভীর ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, এই হামলা প্রমাণ করে যে, সরকার নির্লজ্জভাবে নির্বাচনকে একদলীয় করার সব আয়োজন করে ফেলেছে। প্রচারের শেষদিনে বিএনপির মিছিলের ওপরে এই ন্যক্কারজনক হামলার আমি নিন্দা জানাচ্ছি।
×