ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অলরাউন্ডার ভূমিকা নিয়েই ভাবেন সৌম্য

প্রকাশিত: ১২:০৩, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

অলরাউন্ডার ভূমিকা নিয়েই ভাবেন সৌম্য

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শুরু থেকে শুধু ব্যাটিংটা নিয়েই ভাবতেন সৌম্য সরকার। এখন ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বোলিংটা নিয়েও ভাবেন। অলরাউন্ড ভূমিকাতেই নিজেকে দাঁড় করাতে চান তিনি। বুধবার মিরপুর একাডেমি মাঠে বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে (বিসিএল) নিজ দল ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের হয়ে প্রস্তুতি শেষে অলরাউন্ড ভূমিকা নিয়ে ভাবার কথা নিজেই জানান। সৌম্য বলেছেন, ‘আসলে তেমন লম্বা সময় পাইনি (অলরাউন্ডার)। বেশ কম সময় পেয়েছি আর দল যেটি মনে করেছে সেটাই। যদি দল চিন্তা করে তাহলে আমার তেমন কিছু করার নেই। অবশ্যই আমার জন্য ভাল হবে (অলরাউন্ডার রোল)। আগে এক সাইড নিয়ে চিন্তা করতাম এখন দুই সাইড নিয়ে করি। যে কোন এক সাইডে ভাল করলে হয়তো বা, একটা দিন শেষ হয়। কিন্তু অনেক সময় আছে যে আমি শুধু ব্যাটিং করলে, আর ব্যাটিং খারাপ হয়ে গেলে মনে হয় দিনটি কিছুই হয়নি, তবে এখন সুযোগ বেশি থাকবে।’হার্টহিটার ব্যাটসম্যান হিসেবেই সৌম্যকে সবাই চেনে। কিন্তু এখন নিজেকে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে নয়, বোলার হিসেবেও দেখতে চান। সৌম্যের এ পরিবর্তনটা আসলে গত বছর ইমার্জিং এশিয়া কাপেই শুরু হয়। এ টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে ৬১.০০ গড়ে তিন হাফসেঞ্চুরিসহ ২৪৪ রান করার সঙ্গে ৫ উইকেটও নেন সৌম্য। বিপিএলেও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের হয়ে ব্যাট হাতে ৩৩.১০ গড়ে ৩৩১ রান করার সঙ্গে ১২ উইকেট নেন। পাকিস্তান সফরে দুই টি২০ ম্যাচে অবশ্য আশানুরূপ নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি। দুই ম্যাচে (৭ ও ৫* রান) ১২ রান করেন ও এক ম্যাচে বোলিং করে উইকেটশূন্য থাকেন। তাকে ব্যাট হাতে নামানোও হয় ছয়-সাত নম্বর ব্যাটিং পজিশনে। শেষ মুহূর্তে নেমে বিশেষ কিছু করতে পারেননি সৌম্য। এত পেছনে সৌম্য ব্যাটিংয়ে নামানো নিয়ে সমালোচনাও হয়। কিন্তু দলে এত বেশি ওপেনার এবং টপঅর্ডারে খেলার ব্যাটসম্যান ছিলেন যে সৌম্যকে সেই সুযোগ দেয়া যায়নি। তাছাড়া প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো সৌম্যকে শেষদিকে হার্টহিটিং করে যেন দ্রুত রান তুলতে পারেন, সেজন্যই এই পজিশনে নামান। তা জানিয়েছেনও। সামনে সৌম্য যে ভূমিকাতেই থাকেন না কেন, নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করবেন বলেই জানান। সৌম্য বলেছেন, ‘একটি সিরিজই খেললাম তো এখনও সেভাবে চিন্তা (শেষের দিকে খেলা) করিনি। ম্যাচে পারফর্ম করলে তো সেটা সবসময় কাজে দেয়। নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব এবং ভাল কিছু করার চেষ্টা করব।’ পাকিস্তানে টেস্ট হবে ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। এর আগে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা একসঙ্গে প্রস্তুতি নিতে পারছেন না। তবে বিসিএলে প্রথম রাউন্ড খেলবেন। ম্যাচ খেলে প্রস্তুতি নিয়েই পাকিস্তানে যাবেন। সৌম্য মনে করছেন, অনুশীলন হলে ভাল হতো। তবে ম্যাচ খেলে যাওয়াটাও জরুরী। তিনি জানান, ‘অনুশীলন করে গেলে তো অবশ্যই ভাল হয়। যেহেতু জাতীয় দলের সবাই পাকিস্তানে যাবে, তার আগে যেন সবাই একটি ম্যাচ খেলে।
×