ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ধোঁয়াশা সৃষ্টি করতেই নির্বাচন পেছানোর দাবি বিএনপির

প্রকাশিত: ১০:২২, ২৪ জানুয়ারি ২০২০

 ধোঁয়াশা সৃষ্টি করতেই নির্বাচন পেছানোর দাবি বিএনপির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধোঁয়াশা সৃষ্টি করতেই বিএনপির পক্ষ থেকে আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেলে রেডিসন ব্লুতে ‘চারলেন বিশিষ্ট ভারতীয় ঋণ কর্মসূচীর আওতায় আশুগঞ্জ নদীবন্দর-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের প্যাকেজ-১ ও ২ এর চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান অতিথি হিসেবে এ মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী। এ সময় নির্বাচন পেছাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। তবে নির্বাচনকে ঘিরে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করতেই তারা এমন দাবি করছে। নির্বাচন একবার পেছানো হয়েছে, তার একটি কারণ ছিল। এখন আর পেছানো হবে না। এ সময় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়েও প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ইভিএম বিষয়ে আমাদের অবস্থান বারবার পরিষ্কার করেছি। ইভিএম বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার কিছু নেই। এর সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা আগেও সেটি মেনে নিয়েছি, আগামীতেও নেব। তবে আমরা আধুনিক প্রযুক্তিকে সাপোর্ট করি। এর জন্য আমরা ইভিএমের পক্ষে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইভিএম ব্যবহৃত হচ্ছে দাবি কওে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চাই। সেই হিসেবে এখন আর এনালগ থাকার সুযোগ নেই। ইসি পুরো নির্বাচন ইভিএমে করবে, নাকি আংশিক করবেই; তা ইসির সিদ্ধান্ত। আর মির্জা ফখরুল ইভিএম নিয়ে যে অভিযোগ করছেন তা নির্বাচন কমিশনের কাছে করুক। আমাদের কাছে বা অন্য কারও কাছে করে লাভ নেই। নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগেরই অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। এতে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, অনেক প্রার্থী আছেন খাতা কলমে। দলীয় সিদ্ধান্তের পরে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন না। কাজেই পরিবেশ বিনষ্ট হবে না। এরপরেও যারা আছে তাদের বিষয়ে আমাদের ওপর ছাড়ুন। ‘লিভ ইট টু আস’। সড়ক নির্মাণে চুক্তি বাংলাদেশের আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে ভারতের আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক উন্নয়নে দুই দেশের অংশীদারদের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে। এর আওতায় তিনটি পর্যায়ের মধ্যে দুটি পর্যায়ে ওই মহাসড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হলো। এছাড়া আরও শেষ পর্যায়ের কাজের জন্য আলাদা চুক্তি সই হবে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিমানবন্দন এলাকার হোটেল রেডিসন ব্লুতে মহাসড়কটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের এফকন ইনফ্রাস্ট্রাকচার্স লিমিটেড, বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং অর্থ ঋণ দেয়া প্রতিষ্ঠান এক্সিম ব্যাংকের ভারত শাখার মধ্যে এক ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশের উপস্থিতিতে এসব প্রতিষ্ঠানের স্ব-স্ব প্রতিনিধিরা চুক্তিপত্রে সই করেন। ‘চারলেন বিশিষ্ট আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-দারকার-আখাউড়া স্থলবন্দর সড়ক উন্নীতকরণে জাতীয় মহাসড়ক’ শীর্ষক এ প্রকল্পে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের অর্থ লোন দেবে এক্সিম ব্যাংকের ভারত শাখা।
×