নিজস্ব সংবাদাতা, নোয়াখালী, ২১ জানুয়ারি ॥ কোম্পানীগঞ্জে রেক্টিফাইড স্পিরিট খেয়ে ছয় জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা চার ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল খালেক (৭১) ও বসুরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুক লিটনের (৫০) লাশ পারিবারিক কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়। এর আগে সোমবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামের ফয়েজ আহম্মদের ছেলে ড্রাইভার মহিন উদ্দিন (৪০) ও ৫নং ওয়ার্ডের মৃত রইসুল হকের ছেলে সবুজের (৪৫) লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করায় মৃত্যুর তিন মাস ২৫ দিন পর আদালতের নির্দেশে তাদের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে এবং পরের দিন সকালে বসুরহাট পান বাজারসংলগ্ন রফিক হোমিও হলের স্পিরিট পান করে একে একে ছয় জনের মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনায় রফিক হোমিও হলের মালিক সৈয়দ জাহেদ উল্লাহ (৬৫) ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রিয়মকে (২৯) ২৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে স্থানীয় শাহজাহান সাজু নামে এক ব্যক্তি রফিক হোমিও হলের মালিক ও তার ছেলেকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করায় তাদের মৃত্যুর তিন মাস ২৫ দিন পর চারজনের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই সময়ে নুরনবী মানিক ও রবি লাল দের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন ও সৎকার করা হয়েছিল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রোকনুজ্জামান খান, কোম্পানীগঞ্জ থানার (এসআই) মোঃ আনোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য, স্পিরিট পানে ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত রফিক হোমিও হলের মালিক কথিত হোমিও ডাক্তার সৈয়দ জাহেদ উল্লাহ ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রিয়ম নোয়াখালী কারাগারে আটক রয়েছেন।