ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে স্কুলের পুনর্মিলনী উৎসব

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

  রাজশাহীতে স্কুলের  পুনর্মিলনী  উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ ‘গৌরবের ৭২ বছর’ স্লোগান সামনে রেখে বিপুল উৎসাহ আর উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হলো রাজশাহী রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুলের প্রথম পুনর্মিলনী উৎসব। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, রাজশাহীর অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুলের প্রথম পুনর্মিলনী প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। মেয়র বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি প্রাচীন হলেও এখানে বহুতল ভবন গড়ে ওঠেনি। অনেক আগেই এটি হওয়া দরকার ছিল। এই স্কুলে এক বা একাধিক বহুতল ভবনের নির্মাণ প্রয়োজন। মেয়র আরও বলেন, রাজশাহী শিক্ষানগরী হলেও এখানে মানসম্মত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল নেই। রাজশাহীতে ইংলিশ মিডিয়াম ভাল স্কুলের প্রয়োজন। কারণ দেশের বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করতে গেলে ইংরেজীর বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মেয়র। এ সময় মেয়রকে স্কুলের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক মনোয়ারা পারভীন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব মুনতাসীর মামুন, সদস্য আমিনুর রহমান খান রুবেল, এনায়েতুর রহমান, মাহফুজুল হাসনাইন হিকল, শফিকুজ্জামান শফিক, সারওয়ার হোসেন জুয়েল, আসিক হোসেন, ইমতিয়াজ জয়, মারুফ হোসেন, সিদ্দিক নুর তুষার, সামাউন ইসলাম প্রমুখ। এর আগে সকালে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বেরা হয় হয়। সান্তাহার নিজস্ব সংবাদদাতা সান্তাহার থেকে জানান, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ঐতিহাসিক রক্তদহ বিলপাড়ের জমজ গ্রাম ছাতনী-ঢেকড়া। এই গ্রামে ৫০ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত ‘ছাতনী-ঢেকড়া উচ্চ বিদ্যালয়’ এর সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদ্বোধন করা হয়েছে শুক্রবার। দুই দিনব্যাপী ‘বন্ধু মিলবে বন্ধুর সাথে, মিলন মেলা পরিণত হবে উৎসবে’ স্লোগান হৃদয়ে ধারণ করে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন করা হচ্ছে। প্রথম দিন শুক্রবার সকালে আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়। পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এসময় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সকাল থেকে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক ছাত্রছাত্রীদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস ও পদচারণনায় বিদ্যালয়ের আশপাশ এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। অনেকদিন পর বন্ধুদের দেখা পেয়ে আনন্দে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে। উৎসবকে ঘিরে বিদ্যালয় ও এর আশপাশের এক কিলোমিটার এলাকায় মনোরম আলোকসজ্জা করা হয়েছে। প্রথম দিন শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উৎসব কমিটির সভাপতি, সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু।
×