ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শত কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও দুই ভুয়া কোম্পানি

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

শত কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও দুই ভুয়া কোম্পানি

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ১৬ জানুয়ারি ॥ জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শত কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে নিউ নাভানা ও মোনাভী অল বাংলাদেশ নামে দুইটি কোম্পানি। অধিক লভ্যাংশ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের টাকা লুটে নেয় দুটি ভুয়া কোম্পানি। এ ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে হাজেরা বেগম নামের একজন মামলা দায়ের করেছে। এতে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে আমানত ফেরত পাওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে শত শত নারী পুরুষ মানববন্ধন করেছে। জানা যায়, পটুয়াখালীর নতুন বাস টার্মিনালস্থ পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি রিয়াজ মৃধার মালিকানাধীন ভবন ভাড়া নিয়ে ২০১৮ সালে চক্রটি মোনাভী অল বাংলাদেশ নামে একটি কোম্পানির সাইনবোর্ড লাগিয়ে অধিক মুনাফার লোভনীয় অফার দিয়ে আর্থিক লেনদেনের কার্যক্রম শুরু করেন। কারও কারও কাছ থেকে এক লাখ করে টাকা নিয়ে মাসিক ২০ হাজার টাকার বেতন দেয়ার সুযোগ দিয়ে আমানত সংগ্রহ করে। এদের সঙ্গে পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়ন এলাকায় স্থানীয় নাসির উদ্দিন সবুজ, কুদ্দুস, বাদল, রহিম, আমিনুল, বাদল মোল্লাসহ ১৫ থেকে ২০ জন মিলে নিউ নাভানা কোম্পানি নামে আরও একটি কার্যালয় প্রতিষ্ঠা আর্থিক লেনদেনের কার্যক্রম শুরু করে। পর্যায়ক্রমে তাদের আর্থিক লেনদেনের কার্যক্রম জেলা-উপজেলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ১৪ জানুয়ারি পটুয়াখালী নতুন বাস টার্মিনালস্থ মোনাভী কোম্পানি কার্যালয়টি তালাবদ্ধ দেখে উধাও হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। পটুয়াখালী সদর থানায় হাজেরা বেগমের দায়ের হওয়া মামলায় উল্লেখ করেন-তার মেয়ে স্বামীকে মোনাভী কোম্পানির অফিস কার্যালয়ে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জামানত হিসেবে অভিযুক্তরা সাড়ে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে একইভাবে একাধিক ব্যক্তিদের কাছ থেকে চাকরি এবং অধিক লভ্যাংশ দেয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্তত ৭-৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। চাকরি এবং লভ্যাংশ কোনটাই ফেরত দেয়নি তারা। হঠাৎ ১৩ জানুয়ারি কার্যালয়টি তালাবদ্ধ দেখে পুলিশকে অবহিত করে ক্ষতিগ্রস্তরা। ওই মামলায় বাকি আসামি হলো-টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইলের আকবর আলীর ছেলে জামাল হোসেন মুকুল। কেওয়াবুনিয়ার বেলাল হোসেন। কলাতলা এলাকার হাবিবুর রহমান ফারুক, দেলোয়ার হোসেন। মোঃ আনিছুর রহমান আনিছ, এনামুল হক আকাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এছাড়াও ওই মামলায় ১৮ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
×