ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পোর্ট এলিজাবেথে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই

প্রকাশিত: ১২:১৫, ১৬ জানুয়ারি ২০২০

পোর্ট এলিজাবেথে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজটা দারুণ জমে উঠেছে। সেঞ্চুরিয়নে ১০৭ রানের জয়ে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিক প্রোটিয়ারা। প্রধান কোচ মার্ক বাউচার, ব্যাটিং পরামর্শক গ্রেট জ্যাক ক্যালিস, বোর্ড ডিরেক্টর গ্রায়েম স্মিথÑ নতুন স্টাফ নিয়ে মাঠে নেমেই বাজিমাত করে ফ্যাফ ডুপ্লেসিসের দল। কেপটাউনে দ্বিতীয় টেস্টেই ১৮৯ রানের দাপুটে জয়ে ঘুরে দাঁড়ায় জো রুটের ইংল্যান্ড। দুরন্ত নৈপুণ্যে সফরকারীদের জয়ের নায়ক ছিলেন বেন স্টোকস। বুধবারই আইসিসি’র বর্ষসেরা স্বীকৃতির রোমাঞ্চ সঙ্গী করে আজ মাঠে নামছেন তুখোড় এই অলরাউন্ডার। পোর্ট এলিজাবেথে জিতলেই ২-১এ এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সিরিজ ড্র করার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাবে। সুতরাং দু’দলই এগিয়ে যেতে মরিয়া। সফরকারীরা গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে পাচ্ছে না জেমস এ্যান্ডারসনকে। পাঁজরের ইনজুরির কারণে সফর শেষ হয়ে গেছে তারকা পেসারের। বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায় শুরু চার ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। সেঞ্চুরিয়নে ‘বক্সিং ডে টেস্টে’ প্রবল প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডকে ১০৭ রানে হারিয়ে চার ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ডুপ্লেসিসের দল। দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য প্রতিপক্ষকে ৩৭৬ রানের কঠিন লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল প্রোটিয়ারা। জিততে হলে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসটা নতুন করেই লিখতে হতো ইংলিশদের। তাদের শুরুটাও হয়েছিল আশা জগানিয়া। কিন্তু প্রোটিয়া পেস-তা-বের মুখে চতুর্থদিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬৮ রানে অলআউট হয় রুটের দল। প্রথম ইনিংসে তারা গুটিয়ে গিয়েছিল ১৮১ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮৪ ও ২৭২। রাবাদা ৭ ও ভারনন ফিল্যান্ডার নেন ৪ উইকেট। তবে প্রথম ইনিংসে কার্যকর ৯৫ রান ও চমৎকার সব স্টাম্পিংয়ের জন্য ম্যাচসেরা হন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক। কেপটাউনে দ্বিতীয় টেস্টে ঘটে উল্টো ঘটনা। এবার জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৩৮ রানের বিশাল টার্গেট ছুড়ে দেয় ইংলিশরা। পাঁড় দক্ষিণ আফ্রিকানভক্তও হয়তো সেটি আশা করেননি। এক পর্যায়ে ১৭১ রানে ৫ উইকেট হারানো প্রোটিয়ারা যে ম্যাচটা পঞ্চমদিনের শেষ বেলা পর্যন্ত টেনে নিতে পেরেছিল এটাই তো অনেক। মাটি কামড়ে পড়ে থেকেও দলকে বাঁচাতে পারেননি কুইন্টন ডি কক (১০৭ বলে ৫০) আর ভ্যান ডার ডুসেনরা (১৪০ বলে ১৭)। তবে ড্র’র আশা জাগিয়েছিলেন স্বাগতিকদের শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ৭ ওভার আগে ২৪৮ রানে অলআউট হয় ডুপ্লেসিসের দল। ১৮৯ রানের দারুণ জয়ে চার ম্যাচের সিরিজে ১-১এ সমতায় ফেরে রুটের ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে দু’দল অবশ্য প্রায় সমানে এগোচ্ছিল। ইংল্যান্ডের ২৬৯ রানের জবাবে ২২৩ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ। দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা হন সুপার স্টোকস। দক্ষিণ আফ্রিকায় ইংলিশদের অতীত পরিসংখ্যান বেশ ভাল। ১৯৯৯-২০০০-এর পর এখানে সিরিজ হারেনি তারা। জিতেছে দুটি সিরিজ, ড্র করেছে একটিতে। ১৯৮৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মুখোমুখি ১৫১ টেস্টের ৬২টিতে জিতে এগিয়ে ইংল্যান্ড। প্রোটিয়াদের জয় ৩৪। ড্র ৫৫। সর্বশেষ ২০১৫-২০১৬ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ৪ টেস্টের সিরিজ ২-১এ জিতেছিল ইংলিশরা। আর ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে গিয়ে ৩-১এ হেরে এসেছিল প্রোটিয়ারা। র‌্যাঙ্কিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা চার, আর ইংল্যান্ড পাঁচ নম্বরে।
×