ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়া পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ১৫ জানুয়ারি ২০২০

কলাপাড়া পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৪ জানুয়ারি ॥ পৌরবাসীর অসচেতনতা ও পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যববস্থা থাকলেও এর সুফল মিলছে না। বরং ড্রেন ব্যবহৃত হচ্ছে ময়লা আবর্জনার ভাগাড় হিসেবে। এমনকি টয়লেটের আউটলাইন পর্যন্ত দেয়া রয়েছে ড্রেনের সঙ্গে। ফলে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন আটকে ময়লা আবর্জনা পচে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। মশার উপদ্রব বাড়ছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বাতাসে। ফলে কলাপাড়া পৌরবাসী প্রতাশিত সুফল পাচ্ছেন না। কলাপাড়া পৌরসভার প্রকৌশলী মিজানুজ্জামান জানান, তিন দশমিক ৭৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের প্রথম শ্রেণীর এ পৌরসভায় ১২ দশমিক ৫০০ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। এর মধ্যে আধুনিক ঢাকনাযুক্ত ড্রেন রয়েছে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য এ ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এসব ড্রেনে শহরবাসী বাসাবাড়িসহ দোকানপাটের কাগজ, পলিথিন থেকে শুরু করে বাসাবাড়ির বর্জ্য, ময়লা ফেলছে। ফলে এসব আটকে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়। ওই ময়লা পচে গলে দূষণ ছড়াচ্ছে। অনেক সময় অপচনশীল ময়লা পর্যন্ত ফেলা হচ্ছে। এছাড়া শত শত বাসাবাড়ির টয়লেটের আউটলাইনের সংযোগ দেয়া রয়েছে ড্রেনের সঙ্গে। মলমূত্র ড্রেনে পড়ছে। রাস্তা দিয়ে হাটলে পর্যন্ত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নানাবিধ রোগব্যাধি ছড়াচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পৌরবাসীকে সতর্ক করতে কয়েক দফা মাইকিং করেছে। কিন্তু প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে অসচেতন মহলটি ড্রেনকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। ১৯৯৮ সালে গঠিত এ পৌরসভায় বর্তমানে ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। এ কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখা জরুরী। কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার জানান, সাধারণ ড্রেনের পাশাপাশি আধুনিক ঢাকনাযুক্ত গভীর ড্রেন করা হয়েছে। আরও পর্যায়ক্রমে করা হচ্ছে নতুন ড্রেন। তারপরও অসচেতন পৌরবাসীকে সচেতন করতে কয়েক দফা মাইকিং করা হয়েছে। এরপর টয়লেটের আউটলাইন বন্ধ না করলে এবং যারা বর্জ্য ড্রেনে ফেলবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×