ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কবুলিয়ত বাতিল দাবি

সাঘাটায় ভূমিহীন সেজে খাসজমি বন্দোবস্ত

প্রকাশিত: ০৯:১১, ১২ জানুয়ারি ২০২০

সাঘাটায় ভূমিহীন সেজে খাসজমি বন্দোবস্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১১ জানুয়ারি ॥ সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের ডিমলা পদুমশহর মৌজার ২ একর ১৭ শতক খাসজমি সরকারী কর্মচারীসহ অবস্থাপন্ন জোতদাররা গোপনে বন্দোবস্ত নিয়ে কবুলিয়ত প্রাপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে ওই অঞ্চলের প্রকৃত ভূমিহীনরা খাসজমি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে উপস্থিত ভূমিহীনদের পক্ষ থেকে সাঘাটা উপজেলা ভূমিহীন সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান নান্নু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান এবং তারা অবিলম্বে খাসজমির কবুলিয়ত বাতিল করে বন্দোবস্ত দেয়ার দাবি জানান। এদিকে ভূমিহীন সমিতির পক্ষ থেকে মনছব, মোকাব্বের, মোত্তালেবসহ অন্যরা ইতোপূর্বে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে এক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেনÑডিমলা পদুমশহর মৌজার জেলএল নং ১০, ডিপি খতিয়ান ৩৬৫, ১৪৩০ ও ২৫৩৪ এবং ৬২৪৫ (নতুন ৯২৬১) দাগে ১ একর ৩১ শতক, সাবেক ৬২৪৫ দাগে (নতুন ৯২৬২) ৫০ শতক, সাবেক ৬২৩৩ দাগে (নতুন ৯২৫৭) ২৫ শতক ও সাবেক ৬২৩৩ দাগে (নতুন ৯২৫৯) দাগে ১১ শতক জমি একই গ্রামের মৃত মোখলেছার রহমানের পুত্র এলজিইডির কর্মচারী আতাউর রহমান, তার ভাই ছবিরুল ইসলাম ও তার পিতা মোখলেছার রহমান ভুয়া ভূমিহীন সেজে প্রতারণামূলকভাবে ১৯৮৭ সালে গোপনে বন্দোবস্ত কবুলিয়ত প্রাপ্ত হয়। যা এলাকার প্রকৃত ভূমিহীনরা বিষয়টি জানেন না। ওই জমি এলাকার ভূমিহীনদের দখলে থাকলেও বর্তমানে ওই ব্যক্তিরা জমি দখল নেয়ার নানা রকমের ফন্দী-ফিকিরসহ অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সরকারের খাসজমি বন্দোবস্তের নীতিমালা অনুযায়ী কোন জমির মালিকদের কিংবা জোতদারদের খাসজমি বন্দোবস্ত পাওয়ার কথা নয়। সংশ্লিষ্ট গ্রামে অনেক ভূমিহীন পরিবার থাকা সত্ত্বেও একজন সরকারী চাকরিজীবী ওই খাসজমি নীতিমালা বহির্ভূতভাবে ভোগদখল করছেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তপূর্বক ওই খাসজমির বন্দোবস্ত বাতিল করে সকল জমি উদ্ধারপূর্বক তা খাস খতিয়ানভুক্ত করে প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত দেয়ার দাবি জানানো হয়। এই আবেদনের অনুলিপি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও সাঘাটা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রেরণ করা হলেও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে ভূমিহীনরা উল্লেখ করেন।
×