ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দন্ত্য প্রসঙ্গে ॥ মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া

প্রকাশিত: ১২:২২, ৭ জানুয়ারি ২০২০

দন্ত্য প্রসঙ্গে ॥ মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া

মুখের ভেতরটা শুকিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো- মুখে কোন লালা বা ংধষরাধ তৈরি না হওয়া। সেই সঙ্গে মুখের ংধষরাধ হজমে ও স্বাদে সাহায্য করে। তাছাড়া ংধষরাধ/ লালা মুখের খাদ্রকণাও দূর করে সেই সঙ্গে এসিড তৈরিতে বাধা দেয় ফলে দাঁতের ক্ষয় (ঈধৎরবং) কম হয়। মুখের আর্দ্রতার অনুভূতি মুখের ভেতর এই আর্দ্রতার জন্য ঠোঁট ও জিহ্বা শুকিয়ে যায় এবং ফেঁটে যায়। ঠোঁটের কোনায় মাংস ফেঁটে যায় এবং এই অবস্থায় খাদ্য গিলে খাওয়া ও কথা বলাও কষ্টকর হয়। পাশর্^প্রতিক্রিয়া যেহেতু মুখের লালা তৈরি হচ্ছে না এবং খাদ্যকণা পরিষ্কার হচ্ছে না সেহেতু মুখের দুর্গন্ধ হওয়াটাও স্বাভাবিক। অনেক ক্ষেত্রে গলার স্বরেরও পরিবর্তন হতে পারে কারণ মুখ তখন শুকিয়ে যায় ও ব্যাকটেরিয়া অধিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়াতে প্রদাহ তৈরি হয়। মুখের আর্দ্রতা কোন ওষুধ গ্রহণের কারণেও হতে পারে গবেষণায় দেখা যায় প্রায় ৪০০ ধরনের ওষুধের পার্শ¦প্রতিক্রিয়ায় মুখের শুষ্কতা বা আর্দ্রতা দেখা দিতে পারে। যেমন প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ গ্রহণ করা যেমন এ্যালার্জি বা ঠা-াজ্বরের ওুষধ বা কফ-সিরাপ ইত্যাদি। তাছাড়া প্রেসক্রিপশন মত ক্রয় করা উচ্চরক্ত চাপের ও হৃদরোগের ওষুধ, মানসিক রোগের ওষুধ, ইত্যাদি গ্রহণ। বিভিন্ন রেডিয়েশানের ফলে সেলাইভারি গ্লান্ড এর কার্যক্রমকে ব্যাহত হয় এবং কেমোথ্যারাপি অনেক সময় মুখের লালা কে শুকিয়ে ফেলে ফলে মুখ শুষ্ক হয়ে যায়। মাথা ও ঘাড় কোন দুর্ঘটনায় মাথা ও ঘাড়ের ¯œায়ুগুলো আক্রান্ত হলে মুখে আর্দ্রতা দেখা দেয়। কিছু কিছু নার্ভ ব্রেন ও সেলাইভারি গ্লান্ডের সঙ্গে বার্তা পরিবহন করে। যদি ¯œায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে সেলাইভারি গ্লান্ডকে লালা তৈরির বার্তা পৌঁছাতে পারে না। অন্যান্য সমস্যা মুখের আর্দ্রতার সঙ্গে শরীরের অন্যান্য রোগের সম্পর্ক আছে যেমন, সোজেন-সিন্ড্রম তাছাড়া ডায়াবেটিস ও এইচ আইভি আক্রান্ত রোগীদেরও মুখের শুষ্কতা দেখা দিতে পারে। ধূমপান ও মুখের আর্দ্রতা ধূমপানের ধোঁয়ায় রয়েছে ৭০০০ হাজারের ও বেশি রাসায়নিক পদার্থ, সেগুলো মুখের ভেতরে লালা তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে ধোঁয়াহীন তামাক বা জর্দা, সাদাপাতাও মুখের আর্দ্রতার জন্য দায়ী। ডাক্তারের সাহায্য মুখের আর্দ্রতা বা শুষ্কতা দেখা দিলে একজন ডেন্টিস্ট বা ডাক্তারের স্বরনাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। যদি রোগী কোনো ধরনের ওষুধ গ্রহণ না করে থাকে তবে অন্যান্য কোন রোগের উপস্থিতি বা সন্ধানও পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। মুখের ও দাঁতের যতœ মুখের আর্দ্রতা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। মুখের আর্দ্রতা থাকলে নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ করা জরুরী। প্রতিদিন দুইবেলা দাঁত ব্রাশ ও ডেন্টাল ফ্লস করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে অল্প পরিমাণ পানি সারাদিন বার বার গ্রহণ করা ভাল এবং এ্যালকোহলমুক্ত মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিছু কিছু পরামর্শ দ্ব ডাক্তারের পরামর্শে কিছু কিছু ওষুধ গ্রহণ করা ভাল। দ্ব সুগার বা চিনিমুক্ত ক্যান্ডি বা চুইংগাম অথবা লং/এলাচি মুখে রাখা ভাল। দ্ব মেডিসিন সপে ড্রাই মাউথের জন্য তৈরি কিছু ওষুধ ( ইরড়ঃবহব/ঙৎধসড়রংঃ/ঢুষরঃড়ষ) গ্রহণ করা ভাল। প্রতিদিন নিয়মিত কিছু করণীয় পরামর্শ দ্ব কিছুক্ষণ পর পর অল্প অল্প করে পানি গ্রহণ। দ্ব খাবারের সঙ্গে বেশি পরিমাণ পানি গ্রহণ চিবাতে বা গিলে ফেলতে সাহায্য করবে। দ্ব যে ঘরে হিউমিডিফায়ার আছে সে ঘরে ঘুমালে সকালে অনেক সুস্থ অনুভব করা যায়। দ্ব যে সমস্ত খাবারে অতিরিক্ত সংখ্যায় এসিড বা ক্যাফিন রয়েছে সেগুলো থেকে মুক্ত থাকা। দ্ব প্রতি ছয় মাস অন্তর একজন ডিন্টিস্ট দ্বারা মুখ ও দাঁত পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা। ড. অরূপ রতন চৌধুরী ১৫/এ, গ্রীন স্কয়ার, গ্রীন রোড ঢাকা- ১২০৫ ফোন : ০১৮১৯২১২৬৭৮
×