ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পিটার সিডলের অবসর

প্রকাশিত: ০৯:৪৪, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

  পিটার সিডলের অবসর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পিটার সিডল। আধুনিক অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রতিভাবান পেসার। কিন্তু ক্রমাগত ইনজুরি আর ফর্মহীনতার কারণে প্রায় একযুগের ক্যারিয়ারে কখনই লম্বা সময়ের জন্য জাতীয় দলে থিতু হতে পারেননি। ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে চলমান সিরিজের স্কোয়াডে ছিলেন। প্রথম দুই টেস্টে একাদশে জায়গা পাননি। বিগ ব্যাশে খেলার সুযোগ করে দিতে মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্ট চলাকালেই তাকে সিরিজ থেকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) নির্বাচকম-লী। ৩৫ বছর বয়সী সিডল এবার নিজেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা দিলেন। ফলে গত সেপ্টেম্বরে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এ্যাশেজের শেষ টেস্টটিই হয়ে রইল তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। ‘সঠিক সময় কোনটি তা টের পাওয়া কঠিন। ছোটবেলায় আমি খুব প্রতিভাবান ছিলাম না, ব্যাগি গ্রিন পরতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করতে চেয়েছি। প্রতিবারই অভিজ্ঞতাটা দুর্দান্ত ছিল।’ বলেন সিডল। তবে সিডল যে আফসোস নিয়ে বিদায় বলছেন তার পরের বক্তব্যেই সেটি ফুটে ওঠে, ‘এ্যাশেজ ছিল আমার প্রধান লক্ষ্য। আমি খেলতে চেয়েছিলাম। এ্যাশেজ সিরিজের অংশ হতে চেয়েছিলাম। আমি এ বিষয়ে টিম পেইন ও জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সঙ্গে আলোচনাও করেছিলাম। বলেছিলাম যে আমি এ্যাশেজ সিরিজ খেলে অবসরে যেতে চাই। কিন্তু সেই সুযোগ হয়নি। তাই আমাকে ৬৭ টেস্ট খেলেই থামতে হচ্ছে।’ রবিবার মেলবোর্নে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থদিন সকালে সতীর্থদের নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান সিডল। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত সিডলকে জন্মদিনে হ্যাটট্রিক করার জন্য মনে রাখবেন অনেকে। ২০১০ সালে গ্যাবা টেস্টে এ নজির গড়েছিলেন তিনি। টানা তিন বলে তুলে নিয়েছিলেন এ্যালিস্টার কুক, ম্যাট প্রিয়র ও স্টুয়ার্ট ব্রডকে। সিডলের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শিকার ছিলেন শচীন টেন্ডুলকর।
×