ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গভবনে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি

ধর্ম ব্যবহার করে কেউ যেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

ধর্ম ব্যবহার করে কেউ যেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যুবকদের বিভ্রান্ত করে কেউ যেন সমাজে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘ধর্ম আমাদের আলোর পথ দেখায় এবং অন্যায়, পাপ, অন্ধকার থেকে দূরে রাখে। তাই ধর্ম ব্যবহার করে কেউ যেন নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাই সজাগ থাকবেন।’ রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে বড়দিন উপলক্ষে বুধবার খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন। খবর বাসসর। যুবকদের যেন কেউ ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করতে না পারে সেজন্য বিশেষ নজর রাখতে রাষ্ট্রপতি অভিভাবকদের আরও ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির জনপদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের এই অর্জন সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণের মানুষের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফসল। তিনি ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। আবদুল হামিদ খ্রীস্টানদের পবিত্র উৎসবে তাদের সুখ, সমৃদ্ধি ও আনন্দময় ভবিষ্যত কামনা করেন। যিশুখ্রিস্টকে আলো ও মুক্তির দূত উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, যিশুখ্রিস্ট বিশ্বের শান্তির পথ দেখিয়ে গেছেন। তার দর্শন ছিল ভালবাসা, সেবা, ক্ষমা ও ন্যায় বিচারে পরিপূর্ণ একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা। তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি বর্তমানে এই সমস্যা সঙ্কুল ও সঙ্কটময় বিশ্বে জাতিতে-জাতিতে শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় যিশুর শিক্ষার একান্ত প্রয়োজন।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। রাষ্ট্র প্রধান বঙ্গভবনে বড়দিন উপলক্ষে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এ উপলক্ষে সেখানে একটি ক্রিসমাস গাছ রোপণ ও মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ, কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, কূটনৈতিক কোরের ডিন আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি, বাংলাদেশ খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মিশনের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও পেশাজীবীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় একদল সঙ্গীতশিল্পী বড়দিনের গান পরিবেশন করেন। পরে, রাষ্ট্রপতি বড়দিনের কেক কাটেন ও খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।
×