ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লীগ কাপের সেমিতে ম্যানচেস্টার ডার্বি

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯

 লীগ কাপের সেমিতে ম্যানচেস্টার ডার্বি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আবারও দেখা হচ্ছে দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটির। ইংলিশ লীগ (কারাবাও কাপ) কাপের সেমিফাইনালের দুই লেগে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা দুই শক্তি। বুধবার রাতে নিজ নিজ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ জেতার পর সেমিতে তাদের মুখোমুখি হওয়া নিশ্চিত হয়েছে। কিছুদিন আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচে ইউনাইটেডের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে সিটিজেনরা। অক্সফোর্ডের কাসাম স্টেডিয়ামে তৃতীয় বিভাগের দল স্বাগতিক অক্সফোর্ড ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে সিটির ৩-১ গোলের জয়ে জোড়া গোল করেন রাহিম স্টার্লিং। ওল্ডট্র্যাফোর্ডে চতুর্থ বিভাগের দল কোলচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর গুডিসন পার্কে শেষ আটের আরেক ম্যাচে লিচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে স্বাগতিক এভারটন দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল দিয়ে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরে আসলেও শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে ড্র ছিল। আরেক সেমিফাইনালে লিচেস্টারের প্রতিপক্ষ এ্যাস্টন ভিলা। কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট কাটার পথে কোলচেস্টার দুই বড় দল টটেনহ্যাম ও ক্রিস্টাল প্যালেসের মতো বড় দলকে হারিয়েছে। এ কারণে তাদের বিপক্ষে মাঠে নামতে গিয়ে বেশ সতর্ক ছিল ইউনাইটেড। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন মার্কোস রাশফোর্ড। বিরতির পরপরই (৫১ মিনিট) অবশ্য ইউনাইটেডকে এগিয়ে দিয়ে সেই ব্যর্থতা অবশ্য কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। মৌসুমে এটি তার ক্যারিয়ার সেরা ১৪তম গোল। ইউনাইটেডের অপর দুই গোলেরও যোগানদাতা রাশফোর্ড। ৫৬ মিনিটে রায়ান জ্যাকসনের আত্মঘাতী গোলের পর ৬১ মিনিটে এন্থনি মার্র্শিয়ালের গোলে ইউনাইটেডের জয় নিশ্চিত হয়। এভারটনের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই দুই গোল করে লিচেস্টার মৌসুমে তাদের অসাধারণ ফর্মের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ইঙ্গিত দিয়েছিল। জেমস ম্যাডিসন ও জনি ইভান্সের গোলে ২৯ মিনিটেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফক্সেসরা। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত কোচ ডানকান ফার্গুসনের অধীনে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে এভারটন। ৭০ মিনিটে বেন ডেভিস অসাধারণ এক গোল করে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখেন। ইনজুরি টাইমে লেইটন বেইন্সের গোলে ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ায়। এখানে লিচেস্টারের হয়ে ম্যাডিসন প্রথম স্পট কিকে গোল করতে ব্যর্থ হন। কিন্তু লিচেস্টার গোলরক্ষক কাসপার শিমেচেল এভারটনের সেঙ্ক টোসান ও বেইন্সের প্রথম দু’টি শট আটকে দিয়ে নায়কে পরিণত হন। অক্সফোর্ড সফরে সিটি আটটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। এরপরও তারা ছিল অপ্রতিরোধ্য। ২২ মিনিটে জুয়াও ক্যানসেলোর গোলে এগিয়ে যায় পেপ গার্ডিওলার দল। এটি সিটির হয়ে ক্যানসেলোর প্রথম গোল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাটি টেইলরের গোলে সমতা ফিরিয়ে অক্সফোর্ড ম্যাচ জমিয়ে তোলে। শেষ পর্যন্ত স্টার্লিং ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। ৫০ ও ৭০ মিনিটে এই ইংলিশ স্ট্রাইকারের গোলে সিটির জয় নিশ্চিত হয়। ম্যাচ শেষে সিটি বস গার্ডিওলা বলেন, ম্যাচটি বেশ কঠিন ছিল, তবে শেষ মুহূর্তে আমরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের গোলের জন্য বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। বিশেষ করে প্রচন্ড বাতাসে কর্নার, থ্রো-ইন ও লং পাস দিতে অসুবিধা হচ্ছিল। গত দুই মৌসুম লীগ কাপে নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছে সিটিজেনরা। তিন বছর আগে আসরে তাদের একমাত্র পরাজয়টি হয় ম্যানইউ’র কাছে। আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের আবারও সেই ম্যানইউ’র সামনে পড়তে হয়েছে। সেমিতে দুই ম্যানচেস্টারের লড়াই প্রসঙ্গে ম্যানইউ কোচ ওলে গানার সোলসজায়ের বলেন, সবাই শিরোপা জেতার জন্য মাঠে নামে। সিটির বিরুদ্ধে ম্যাচটি খেলতে আমরা মুখিয়ে আছি। তাদের বিরুদ্ধে যে আমরা ভাল করতে পারি তা আগেও প্রমাণ করেছি।
×