ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় যানবাহনে স্টিকার লাগিয়ে চাঁদাবাজি

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

কলাপাড়ায় যানবাহনে স্টিকার লাগিয়ে চাঁদাবাজি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী, ১৪ ডিসেম্বর ॥ ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা গাড়ির কোন কাগজপত্র না থাকলেও সমস্যা নেই। তবে এই স্টিকারটি লাগানো থাকতে হবে। তাইলেই কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কে অটোবাইক কিংবা ভাড়াটে হোন্ডা চলাচল নিরাপদ। এ স্টিকার মাসিক দুই শ’ টাকার বিনিময় নিতে বাধ্য করা হয়। স্টিকার থাকলে ট্রাফিক পুলিশ, থানা পুলিশ কিংবা রাজনৈতিক ক্যাডররা আর বাড়তি কোন চাঁদার জন্য ঝামেলা করবে না। মহাড়কের পায়রা ফোরলেন থেকে শেখ কামাল সেতুর টোলঘর পর্যন্ত একটি চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট প্রকাশ্যে দিনে-রাতে এভাবে চাঁদার বিনিময় এসব স্টিকার লাগিয়ে দেয়। আবার সড়ক ও জনপথের মহসড়কে চলাচল করলেও পৌরসভার টোলের নামে এসব যান থেকে ২০-৩০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান, পৌরমেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, কলাপাড়া থানার ওসি বহুবার এমন চাঁদাবাজি বন্ধের প্রকাশ্য নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু দু’চারদিন বন্ধ থাকার পরে ফের সব ফ্রি-স্টাইলে চলে আসছে। একটি চক্র কোটিপতি হওয়ার মিশন নিয়ে এভাবে ১১ সদস্যের একটি চাঁদাবাজ চক্র গড়ে তুলেছে। সরকার ও সরকারী দল আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি চালে উঠিয়ে দিচ্ছে এ চক্র। গোল স্টিকারে লেখা রয়েছে, ৫নং নীলগঞ্জ ইউনিয়ন। মাঝখানে তারিখ এবং নিচে উপদেশমূলক বাণী ‘ট্রাফিক আইন মেনে চলুন’। যে মাসের টাকা শোধ ওই মাসের আপডেট তারিখ সংবলিত স্টিকার লাগিয়ে নিতে বাধ্য হয় যানবাহনের চালকরা। অটোবাইক, ভাড়াটে মোটরসাইকেল ছাড়াও মাহেন্দ্র চালকদের দৈনিক দিতে হয় এক শ’ টাকা করে। মহাসড়কে প্রকাশ্যে এসব চাঁদাবাজি চলে আসছে। আর এর কারণে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি রসাতলে যাচ্ছে। কলাপাড়ার ইউএনওর উদ্যোগে কয়েক দফা কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে এমন চাঁদাবাজির কারণে, কিন্তু দুই-একদিন পরে আবার যেই সেই অবস্থা। তবে ভুক্তভোগী যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের মতামত রাজনৈতিক আন্তরিক সিদ্ধান্ত ছাড়া মহাসড়কের এই চাঁদাবাজি বন্ধ হবে না। সেক্ষেত্রে পুলিশকে এগিয়ে আসতে হবে আগে। তবে স্টিকারধারী ওই চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি সকলের। এমনকি পর্যটকবাহী রিজার্ভ যানবাহন, মালবাহী ট্রাক আটকেও এ চক্র চাঁদাবাজি করে আসছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিবুর রহমান জানান, শনিবার বেলা ১১টার সময়ে তিনি নিজে শেখ কামাল সেতু এলাকায় তৎপরতা চালিয়েছেন। চাঁদাবাজি যে কোন মূল্যে বন্ধের কথা জানালেন তিনি। ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা বিভিন্ন সময় তৎপরতা চালাচ্ছেন। স্টিকারের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানালেন।
×