ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ছিল মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ’

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

 ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ছিল মুক্তিযুদ্ধে  পরাজয়ের প্রতিশোধ’

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে হত্যার মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। মুক্তিযুদ্ধে যারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল তারা তাদের ব্যর্থতার প্রতিশোধ নিতে এ হত্যাকা- ঘটিয়েছিল। শিশু রাসেলের বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। তাকেও হত্যার একমাত্র কারণ সে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান ছিল। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও চেতনা ধারণ এক কথা নয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধীরা নারকীয় হত্যাকা-ের মধ্য দিয়ে মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হত্যা করতে চেয়েছিল। শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে ‘বিজয়ের শেষ তিনদিন কেমন ছিল চট্টগ্রাম’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা উদ্বোধনকালে কথাগুলো বলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) চট্টগ্রাম অফিস এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। চসিক মেয়র বলেন, আমরা অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়েছি, যারা হাসিমুখে প্রাণ দিয়েছেন দেশের জন্য। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অনেকে শহীদ হয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকায় স্বাধীন একটি দেশ পেয়েছি। এখন আমরা একটি সার্বভৌম দেশের নাগরিক। বিশে^র দরবারে মাথা উঁচু করে আত্মপরিচয় তুলে ধরতে পারছি। এর নেপথ্যে রয়েছে জাতির জনকের নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠ ভূমিকা। যারা মনে প্রাণে এ দেশ চায়নি তারাই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে প্রতিশোধ হিসেবে। তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে চসিক মেয়র বলেন, পাকিস্তান আমলে আমাদের দেশের অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল ক্ষেত্রে বাঙালীরা কেমন বৈষম্যের শিকার ছিল তা দাদা দাদীর কাছ থেকে শুনতে হবে। কী কারণে বাঙালী জাতি অস্ত্র হাতে নিতে বাধ্য হয়েছিল তা জানতে হবে। বর্তমানে জাতির জনকের কন্যা তার পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ করছেন। তিনি সঙ্কীর্ণতার উর্ধে উঠে সকলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার এবং নিজের দেশকে ভালবাসার আহ্বান জানান। বাসস চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান কলিম সরওয়ারের সঞ্চালনায় এতে আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মাহফুজুর রহমান, মোঃ হারিছ, এবিএম খালেকুজ্জামান দাদুল, আবু সাঈদ সরদার, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, প্রফেসর মোঃ মইনউদ্দীন, ফেরদৌস হাফিজ খান রুমু, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, রেজাউল করিম চৌধুরী, মোঃ সাহাবউদ্দিন, মোজাফফর আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম মনজু প্রমুখ। স্মৃতিচারণে মুক্তিযোদ্ধারা তুলে ধরেন একাত্তরের দিনগুলোর চিত্র। রণাঙ্গনের বীর সেনানীদের মুখ থেকে যুদ্ধজয়ের গল্প শুনে আপ্লুত হন তরুণরা।
×