অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি নিউ লাইন ক্লোথিংস ইতোমধ্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত টাকা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবহার করা শুরু করেছে। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কোম্পানির একটি ফ্লোরের বটম ফ্যাক্টরিকে অটোমেটিক হাইটেক জ্যাকেট ফ্যাক্টরিতে রূপান্তরের কাজ শুরু করেছে। কোম্পানিটি ইতোমধ্যে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ মার্কিন ডলার এলসি খুলেছে, যা বাংলাদেশী টাকায় ৫ কোটি ৩১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৫৬ টাকা।
জাপানিজ বিখ্যাত ব্র্যান্ডের জুকি থেকে নিউ লাইন ক্লোথিংস সব ধরনের সেলাই মেশিন কিনবে। এছাড়া কোম্পানিটি জুকি সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড থেকে অন্যান্য মেশিনারিজ আমদানি করবে।
এই অটোমেশন প্রকল্পে কোম্পানিটি আরও ৪ কোটি ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৫৬ টাকা যুক্ত করলে এই প্রকল্পে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ১৫ কোটি ৯৭ লাখ ৩০ হাজার ১১৬ টাকা। নিউ লাইন ক্লোথিংসের অটোমেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় ২০-২৫ শতাংশ রাজস্ব বাড়বে এবং খরচও ১৫-২০ শতাংশ কমবে। শেয়ারহোল্ডার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মতিক্রমে এই প্রকল্পের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কোম্পানিটি আরও জানায়, কোম্পানির কারখানা বর্ধিত করার পরিকল্পনা সংশোধন করতে চায়। কোম্পানিটি ৭ কোটি ৬৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৯০ টাকার মধ্যে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩৪ টাকা সংস্কারের কাজে ব্যবহার করতে চায়।
আরেকটি ১৮ হাজার বর্গফুটের ভবনের জায়গায় মেজনাইন ফ্লোর নির্মাণ করা হবে। কোম্পানিটির ৪ কোটি ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৫৬ টাকা অটোমেশন উৎপাদন প্রক্রিয়াতে বিনিয়োগ করা হবে। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সালে।
এছাড়া কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী ঋণ পরিশোধের ব্যাপারে কোম্পানিটি জানিয়েছে, ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিষয়টি সমাধান করা হবে।