ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুই মহানগর কমিটির নেতৃত্বেও চমক

প্রকাশিত: ১০:৩২, ১ ডিসেম্বর ২০১৯

 দুই মহানগর কমিটির নেতৃত্বেও চমক

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ‘হোয়াইট ওয়াশ’ হলো ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণেও। আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের ধারাবাহিক সম্মেলনে নতুনদের জয়যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। সব কটি সম্মেলনেই পুরনো কোন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকই নতুন কমিটিতে স্থান পাননি। সর্বশেষ শনিবার অনুষ্ঠিত ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ শাখা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে নতুনরা নেতৃত্বে এসেছেন, পুরনোরা যথারীতি পড়েছেন বাদের তালিকায়। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় অর্থাৎ কাউন্সিল অধিবেশনে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে এক সময়ের সাহসী সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচিকে। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হয়েছেন আবু আহাম্মদ মান্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন হুমায়ুন কবির। উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান গত কমিটির সহ-সভাপতি ছাড়াও একাধিকবার মোহাম্মদপুর থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি সদ্য সাবেক হওয়া নগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দক্ষিণে সভাপতি আবু আহাম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফি গত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হুামায়ুন কবিরও সহ-সভাপতি ছিলেন। শনিবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর-দক্ষিণের সম্মেলনের কাউন্সিলর অধিবেশনে নতুন নেতাদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কমিটি ঘোষণার সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তরে সভাপতি পদে ৮ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৯ জনের নাম প্রস্তাব হয়, আর দক্ষিণে সভাপতি পদে ১০ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৩ জনের নাম প্রস্তাব হয়। আমরা সমঝোতার জন্য তাদের ১০ মিনিট সময় দিয়েছি। কিন্তু সমঝোতা না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর নির্দেশে শাখা ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি ও দক্ষিণে সভাপতি আবু আহাম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির নির্বাচিত করা হয়েছে। আমরা আশা করি, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর এই সিদ্ধান্ত আপনারা মেনে নেবেন। ক্যাসিনোকা-ে খড়গ নেমে আসার পর আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর সম্মেলনে নতুন কমিটিতে পুরনো কেউই স্থান পাননি। যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগের প্রতিটি কমিটিতেই আনা হয়েছে নতুন মুখ। সর্বশেষ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে- একেএম রহমততুল্লাহ এমপি, সাদেক খান এমপি এবং হাজী আবুল হাসনাত ও শাহে আলম মুরাদ সবাই বাদ পড়েছেন নতুন কমিটি থেকে। দলের ক্লিন ইমেজ ফিরিয়ে আনতে এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতেই সর্বত্রই অভিজ্ঞ সাংগঠনিক নতুন নেতাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে সংগঠনগুলোর দায়িত্ব। এখন বাকি শুধু আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন। আগামী ২০-২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় কেন্দ্রীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে কারা আসবেন, সেখানেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
×