ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নোয়াখালীতে প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণে অনিয়ম

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ২৬ নভেম্বর ২০১৯

নোয়াখালীতে প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণে অনিয়ম

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ২৫ নবেম্বর ॥ কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এনএনজিপিএস প্রকল্পে চরযাত্রা সরকারী বিদ্যালয়ের নতুন ভবন স্থাপন কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য স্থানীয় এলকাবাসী দূষছেন, এলজিইডির কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তদারকি প্রতিষ্ঠানের উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের অনিয়মে শিডিউল অমান্য করে বেজায় নিম্নমানের কাজ করার সুযোগ পায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। নির্মাণ ক্ষেত্রে দরপত্রের শর্ত লঙ্ঘন হয়েছে পদে পদে। উপজেলা প্রকৌশলীর নির্দেশনায় প্রকৌশল বিভাগের একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাজ তদারকি করছেন। অভিযোগ রয়েছে, এ অনিয়মে উর্ধতন কর্তৃপক্ষেরও সঠিক তদারকি ছিল না। চর যাত্রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিদ্দিক বলেন, এ বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলছে প্রায় ৭ মাস ধরে। বিদ্যালয় নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কথা একাধিকবার উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি। ইটের ওপরে কালার আছে, ভেতরে মাটি। আমরা নামকা ওয়াস্তে আছি, এ অনিয়মের প্রতিকার করার ক্ষমতা আমাদের নেই। সোমবার সরেজমিনে গেলে, স্থানীয়রা জানান অভিযোগের পরও বিদ্যালয় নির্মাণ কাজে স্থানীয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে যথাযথ তদারকি করতে দেখা যায়নি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায় ঠিকাদার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ বিদ্যালয় নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির সকল সীমারেখা ছাড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, বিদ্যালয়টি নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। কাজের শুরুতেই নিম্নমানের বালু, নিম্নমানের ইটের খোয়া, নিম্নমানের ইট, নিম্নমানের রড ব্যবহার করা হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বলেন, ইটভাঁটির এক নম্বর ইট না থাকায় কিছু দুই নম্বর ইট ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি ভাল নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করেছেন বলে দাবি করেন। চর যাত্রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইউপি সদস্য মাহফুজ জানান, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বিদ্যালয় নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে, দুই দফায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এনএনজিপিএস প্রকল্পে আনুমানিক ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরে চর যাত্রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন নির্মাণে কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিনহা এন্টার প্রাইজ। এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাহফুজুল হোসাইন বলেন, খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া কোন তথ্য দিতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, তথ্য প্রয়োজন হলে লিখিত আবেদন করতে বলেন তিনি। নোয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সাত্তার বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মানসম্পন্ন কাজে আদায়ে কোন প্রকৌশলী ছাড় দিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×