রাজশাহীতে ঘরে তালা দিয়ে বাবাকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা, ছেলে গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বাগমারা উপজেলায় ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে ঘরে তালাবদ্ধ করে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃদ্ধ বাবা দরজা ভেঙ্গে পালিয়ে রক্ষা পেলেও ঘর ও মালামাল আগুনে পুড়ে গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের হলুদঘর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার তিন ঘণ্টা পর স্থানীয় লোকজন একটি পানবরজে আত্মগোপন করে থাকা বখাটে ছেলে মিঠুন কুমারকে (৩২) ধরে পুলিশে দিয়েছেন। এ ঘটনায় বাবা বটকৃষ্ণ বাদী হয়ে ছেলের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, হলুদঘর গ্রামের বটকৃষ্ণের (৬৪) ছেলে মিঠুন কুমার স্থানীয় কিছু বখাটের পাল্লায় পড়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। মিঠুনকে সুস্থ করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন তার স্ত্রী ও বাবা বটকৃষ্ণ। নেশার টাকার জন্য সে স্ত্রী, বাবাসহ পরিবারের লোকজনের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। নিরুপায় হয়ে এক বছর আগে স্বামীকে রেখে স্ত্রী ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। কয়েক মাস আগে স্ত্রীর সন্ধান পেয়ে সেও ঢাকায় যায়। সেখানে তারা একসঙ্গে ছিলেন। তবে শুক্রবার বিকেলে মিঠুন বাড়িতে আসে। এ সময় বাড়িতে তার বাবা ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। একপর্যায়ে কৌশলে বাবাকে একটি ঘরে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে দেয়। পরে পেট্রোল ঢেলে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর আগুন জ্বলতে দেখে ও তাপ অনুভব করে বৃদ্ধ বটকৃষ্ণ ঘরের দরজা ভেঙ্গে বাইরে আসেন। আগুন দেখে আশপাশের লোকজনও ছুটে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজন দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে বটকৃষ্ণের একটি ঘর ও বাড়ির যাবতীয় মালামাল পুড়ে যায়। এদিকে বখাটে মিঠুন কুমার এলাকায় অবস্থান করছে জানতে পেরে তাকে খুঁজতে থাকে এলাকাবাসী। রাত সাড়ে আটটার দিকে গ্রামের একটি পানবরজে আত্মগোপন করে থাকা অবস্থায় লোকজন তাকে ধরে পিটুনি দেয়। পরে থানায় খবর দেয়া হলে রাত নয়টার দিকে পুলিশ মিঠুন কুমারকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে। পরে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে থানায় আনে পুলিশ।