ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ হলো তিনদিনের ভূপেন হাজারিকা স্মরণ অনুষ্ঠান

প্রকাশিত: ১০:৩৮, ৮ নভেম্বর ২০১৯

 শেষ হলো তিনদিনের ভূপেন হাজারিকা স্মরণ অনুষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গান আর কথামালায় শেষ হলো উপমহাদেশের প্রখ্যাত গণসঙ্গীত শিল্পী ড. ভূপেন হাজারিকা স্মরণ অনুষ্ঠান। গুণী এ শিল্পীর অষ্টম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ‘মোরা যাত্রী একই তরণীর’ শীর্ষক তিনদিনব্যাপী আলোচনা, সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানে ভূপেন হাজারিকাকে নিবেদিত গান আর আলোচনার পর মঞ্চস্থ হয় নাটক। অসম কলাতীর্থ ও এসবি মুভিজের নিবেদন কমলারানির গল্প অবলম্বনে ড. পরমানন্দ রাজবংশী’র রচনা, প্রযোজনা ও পরিচালনায় মঞ্চস্থ হয় অসমিয়া নাটক ‘কমলাকুঁয়রীর সাধু’। অসমের দরং জেলায় প্রচলিত এক জনশ্রুতিকে অবলম্বন করে ড. পরমানন্দ রাজবংশী রচনা করেছেন ‘কমলাকুঁয়রীর সাধু’। কমলা রাজকন্যার গল্প প্রচলিত এই জনশ্রুতির আধারে ড. রাজবংশী রচিত ও পরিচালিত এই নাটকটি লোক উপাদান ও লোকগীতে সমৃদ্ধ। প্রাচীন লোককথায় থাকা উপাদানগুলোকে প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গীর দ্বারা বোঝার ও প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন নাট্যকার। কোচ দরঙ্গী রাজা পিতৃপুরুষের রাজধানী কোচবিহার থেকে ঘুরে আসার পথে কুশান নাচ-গান করতে থাকা রূপবতী কমলাকে দেখতে পেয়ে মোহিত হন ও চতুর্থজন রানী হিসেবে রাজধানীতে নিয়ে আসেন। পরবর্তী সময়ে কমলা সন্তানসম্ভবা হলে রাজা অন্য তিনজন সন্তানহীনা রানীর গুরু হলো নারীর সনাতনী ঈর্ষা ও প্রতিহিংসা। এর ফলে কিভাবে কমলাকুঁয়রী নিঃশেষ হলেন তারই এক করুণগাথা হচ্ছে এই ‘কমলাকুঁয়রীর সাধু’। সম্পূর্ণ নারী চরিত্রের দ্বারা অভিনীত এই নাটকটি অসম তথা ভারতের বিভিন্ন স্থানে মঞ্চস্থ হয়েছে। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন হিমাপ্রীদি পাটোয়ারি, প্রিমরোজ শইকিয়া, আরাধনা দেবী, যঞ্জশ্রী উপমন্যু, ডলি ভরদ্বাজ, ভায়োলিনা রাজকুমারী, রিজুমণি দেউরি, প্রিয়াংকা সিংহ বরুয়া, শ্রদ্ধঞ্জলি শর্মা, সম্রাজ্ঞী কাশ্যপ, মিমন মহন্ত এবং পূজা দাস।
×