ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তেঁতুলিয়ায় চলছে মা ইলিশ শিকার

প্রকাশিত: ০৯:২০, ২০ অক্টোবর ২০১৯

প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তেঁতুলিয়ায় চলছে মা ইলিশ শিকার

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১৯ অক্টোবর ॥ বাউফলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তেঁতুলিয়া নদীতে চলছে মা ইলিশ শিকারের মহোৎসব। যে কোন সময়ের চেয়ে এ বছর মা ইলিশ শিকার বেশি হচ্ছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কতিপয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় মা ইলিশ শিকার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তেঁতুলিয়া নিমদি এলাকার কয়েক ব্যক্তি জানান, প্রশাসনের লোকজন তেঁতুলিয়া নদীর যেসব পয়েন্টে টহল দেন, মূলত সেসব পয়েন্টে জেলেরা মাছ শিকার করেন না। আবার যেসব পয়েন্টে জেলেরা জাল ফেলে মা ইলিশ শিকার করেন, সেখানে প্রশাসনের লোকজন টহল দেন না। তাই ধারণা করা হচ্ছে, তাদের ম্যানেজ করেই জেলেরা নদীতে মা-ইলিশ শিকার করছেন। শনিবার নিমদি লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে সামান্য দক্ষিণ দিকে বেড়িবাঁধের ওপর প্রায় ২৫-৩০ জন লোক দাঁড়িয়ে আছে। কাছে যেতেই কয়েকজন বলল, ‘ভাই, দ্যাহেন ক্যামনে ইলিশ ধরে।’ তখন ওই স্থানের আশপাশে ১২-১৪টি নৌকার জেলেরা ফেলে রাখা ইলিশ জাল তুলছে নদী থেকে। দুপুর সাড়ে ১২টার সময় এ দৃশ্য দেখা গেল। এর ৫-৭ মিনিট পর নিমদি লঞ্চঘাট খাল থেকে আর ৫টি নৌকায় জাল নিয়ে জেলেদের একই পথে যেতে দেখা গেছে। দুপুর ১টা ৩ মিনিটে দেখা গেল, নিমদি লঞ্চঘাটের প্রায় ১ কিলোমিটার দক্ষিণে বড় ডালিমা এলাকায় তেঁতুলিয়ার বুকে জাল টানছে অনেক জেলেরা। এ সময় দাড়িয়ে থাকা উৎসুক লোকজন জানান, সব নৌকাগুলো নদীতে জাল ফেলে তেঁতুলিয়ার পূর্বপাড়ে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরের ছোট ছোট খালে আশ্রয় নেয় এবং সময় হলে জাল উঠায়। তারা আরও জানান, এ জেলেদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কিছু অসাধু নেতাদের যোগসূত্র রয়েছে। ইলিশ প্রজননের এ নিষেধাজ্ঞার সময় সংঘবদ্ধ ওই রাজনৈতিক দলের চক্রটি কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে ইলিশ শিকার করে আয় করে নেয়। নেতাদের নাম জানতে চাইলে বলেন, ‘সবাই তাদের নাম জানে। আমরা নাম বলে এলাকা ছাড়া হবো। বোঝেন না? কোস্টগার্ড কিছু বলে না কেন? ওই নেতারাই কোস্টগার্ডকে ম্যানেজ করে জেলেদের নদীতে নামিয়ে দিয়েছে। অবৈধভাবে শিকার করা ওই ইলিশ ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকায় বাড়ি বাড়ি ফেরি করে হালি বিক্রি করা হয়।’
×