ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি

প্রকাশিত: ১২:২৭, ১৮ অক্টোবর ২০১৯

দেশজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেতন বৈষম্য নিরসন ও পদমর্যাদা বৃদ্ধির দাবিতে দুইদিন আংশিক কর্মবিরতির পর বৃহস্পতিবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন সারাদেশের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বেতন বৈষম্য নিরসন, সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের দাবিতে দেশের ৬৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পৌনে চার লাখ শিক্ষক কর্মসূচী পালন করেছেন। তবে আন্দোলনরত শিক্ষকদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার চিন্তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন এমপিও নীতিমালা বাতিলে দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য পদযাত্রায় অংশ নেয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা। প্রাথমিক শিক্ষকরা বলছেন, পূর্ব ঘোষণা অনুসারেই তারা বৃহস্পতিবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন। এর আগে বুধবার অর্ধদিবস, মঙ্গলবার তিন ঘণ্টা ও সোমবার দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন তারা। আগামী ২৩ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে। মহাসমাবেশে পরবর্তী ‘কঠোর কর্মসূচীর’ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৪টি সংগঠন নিয়ে গঠিত মোর্চা বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্যপরিষদ ডাকে এ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। শিক্ষক নেতারা জানান, বেতন বৈষম্য নিরসনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কারও আশ্বাসে সে কর্মসূচী প্রত্যাহার করা হবে না। পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইসলাম তোতা জানান, শিক্ষকরা সফলভাবে কর্মবিরতি পালন করেছেন। আগামী ২৩ অক্টোবর মহাসমাবেশ থেকে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচীর ঘোষণা আসতে পারে। সে কর্মসূচী প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কারও আশ্বাসে প্রত্যাহার করা হবে না। প্রধান সমন্বয়ক আতিকুর রহমান আতিক জানান, আগামী ২৩ অক্টোবর মহাসমাবেশ থেকে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচীর ঘোষণা করা হবে। তবে শুক্রবার (আজ) ঐক্যপরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা আলোচনায় বসবেন। সেখানে কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা হবে। পুলিশী বাধায় নন-এমপিও শিক্ষকদের পদযাত্রা প- ॥ এমপিও নীতিমালা সংশোধনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য পদযাত্রা করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। পরে তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় ঈদগাহের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে আবারও প্রেসক্লাবের সামনে আগের জায়গায় অবস্থান কর্মসূচী পালনে বসেছেন। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেছেন, বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করি। জাতীয় ঈদগাহের সামনে গেলে পুলিশ আমাদের পদযাত্রায় বাধা দেয়। ফলে আমাদের শিক্ষকরা ঈদগাহের সামনে কিছুক্ষণ বসে প্রতিবাদ চালিয়ে যান। পরে সেখান থেকে আমরা প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তায় এসে বসি। তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত চাই। আমরা পরবর্তী কর্মসূচী হিসেবে আমরণ অনশন কর্মসূচীর ঘোষণা করব।
×