পাবনায় দম্পতিকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করল জামায়াত ক্যাডাররা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২৯ সেপ্টেম্বর ॥ জমিসংক্রান্ত মামলা তুলে নেয়ার দাবিতে জামায়াতের সন্ত্রাসীরা এক দম্পতিকে গাছে বেঁধে মাথার চুল কেটে সিগারেটের আগুনে পুড়িয়ে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা দম্পতির বাড়িঘরও ভাংচুর করে। শনিবার রাত তিনটায় সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত দম্পতি সখিনা খাতুন ও তার কাঁচি শ্রমিক স্বামী জিলাল প্রামানিককে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সার্জিক্যাল বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন সখিনা খাতুন জানান, স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর ক্যাডার শাহজাহান ও তার সহযোগীরা তাদের বাড়ির ২৩ শতাংশ জমি জাল দলিল করে দখলের পাঁয়তারা চালালে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে মামলা চলে আসছে। ওই মামলায় শাহজাহান আলী, মারুফ হোসেন, বকুল হোসেন ও জনিকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামিরা তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি, বাড়িঘর ভাংচুর ও হামলা করে আসছে। নির্যাতনের শিকার জিলাল প্রামাণিক জানান, শনিবার রাত তিনটার দিকে জামায়াত ক্যাডার শাহজাহন, খাইরুল, বিপ্লব, ফরিদ ও তৈজদ্দিনসহ ৬/৭ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী মুখে কালো কাপড় বেঁধে তাদের বাড়িতে হানা দেয়। সন্ত্রাসীরা তাদের ঘর থেকে টেনে বের করে নারিকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে বেদম মারপিট করাসহ তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জ¦লন্ত সিগারেট চেপে ধরে পুড়িয়ে দেয়। তারা স্ত্রী সখিনা খাতুনের মাথার চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেয়। সন্ত্রাসীরা এরপর তাদের বাড়ি ভাংচুুর ও লুটপাট চালিয়ে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এলাকাবাসী রাতেই তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির আহম্মেদ জানান, লোকমুখে ঘটনাটি জানার পর সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুলিশের এক কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।