ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সম্পৃক্ত হতে হবে ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সম্পৃক্ত হতে হবে ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে এবং নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের দেশে ফিরে যেতে পারে সে লক্ষ্যে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান প্রচেষ্টায় আরও সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব সম্প্রদায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করে বলেছে, মায়ানমার নাগরিকদের অবশ্যই তাদের দেশে প্রত্যাবাসন করতে হবে।’ -খবর বাসসর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ, ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসেফ আল-ওথাইমিন ও সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইব্রাহিম বিন আবদুল আজিজ আল-আসফ এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, বেলজিয়াম, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সুইডেন, নেদারল্যান্ড, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, কুয়েত, সার্বিয়া, ফিলিপিন্স এবং গাম্বিয়াসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিগণ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের প্রতি তাদের জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং ওআইসি সচিবালয় যৌথ উদ্যোগে রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে তারা বলেন, মায়ানমারকে তাদের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নেয়ার জন্য তারা চাপ দেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে অংশগ্রহণকারীগণ রোহিঙ্গা ইস্যুকে বাংলাদেশের প্রতি জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে এবং নিরাপত্তা ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চেয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, তারা ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন। তারা সকলেই বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নেয়ার জন্য মায়ানমারকে রাজি করানোর বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট অর্জন।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব আয়োজিত অঙ্গীকারমূলক অধিবেশনের পর এ অনুষ্ঠান হয়। সেখানে ওআইসি’র বিভিন্ন সদস্য দেশ ইউএনএইচসিআরে মোট ২৭ কোটি ডলার দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
×