ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মৌসুমি বায়ু সক্রিয়, সারাদেশে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ

প্রকাশিত: ১১:২৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মৌসুমি বায়ু সক্রিয়, সারাদেশে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভাদ্র মাসের মতো আশ্বিনের শুরুটাও বৃষ্টিহীন ছিল। ছিল প্রচ- গরম আর সূর্যতাপের তীব্রতা। কিন্তু মৌসুমি বায়ু শেষ বেলায় এসে হঠাৎ সক্রিয় হয়ে পড়ায় সারাদেশে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। এর প্রভাবে সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আকাশ মেঘলা। সারাদিনের সূর্যের দেখা মেলেনি। তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে কম। ফলে অব্যাহত থাকা ভ্যাপসা গরমের পরিবর্তে এখন বেশ স্বস্তির নিশ্বাসই নিতে পারছে দেশবাসী। সারাদেশের পাশাপাশি রাজধানীতে মঙ্গলবার থেকে হাল্কাচালে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে বুধবার পরিমাণটা কিছু বেড়েছে। আবহাওয়া অফিসের হিসাব অনুযায়ী আগের দিন সন্ধ্যা নাগাদ ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৪ মিলিমিটার। সেখানে বুধবার এর পরিমাণ বেড়ে ৮ মিলিমিটারে দাঁড়িয়েছে। তবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি না হলেও বিরাজ করছে ঠা-া আবহাওয়া। গত কিছুদিন ধরে প্রচ- গরমে প্রকৃতি বেশ অস্থির ছিল। প্রচ- রোদ্রতাপে বাইরে বের হওয়া মুশকিল ছিল। গরমে এতটুকু স্বস্তি ছিল না। দেরিতে হলেও প্রতীক্ষিত বৃষ্টিতে স্বস্তি মিলেছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে দুদিনের এই বৃষ্টিপাত বৃহস্পতিবার থেকে কমে আসবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর উত্তর বঙ্গোপসাগারে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এটি জোরদার হয়ে নি¤œচাপে পরিণত হতে পারে। নি¤œচাপ সৃষ্টি হলে এই মাসের শেষে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আবারও বেড়ে যাবে। জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান জনকণ্ঠকে বলেন, লঘুচাপ সৃষ্টির কারণে দুদিন বিরতি দিয়ে বৃষ্টিপাত আবার বেড়ে যাবে। বিশেষ করে এই মাসের শেষ নাগাদ থেকে আবারও বৃষ্টিপাত বাড়বে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। তিনি জানান, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ায় মূলত এই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এটি যতক্ষণ সক্রিয় থাকবে ততক্ষণ এর প্রভাবে বৃষ্টি হবে। অক্টোবরের মাঝামাঝি নাগাদ মৌসুমি বায়ু দেশ থেকে বিদায় নিতে পারে। দুদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে স্বস্তির দেখা মিললেও ভোগান্তি ছিল বেশ। বুধবার রাজধানীতে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এর ফলে রাস্তায় যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। কোথাও কোথাও জ্যামের কারণে গন্তব্যে দেরিতে পৌঁছাতে হয়। তবে এই বৃষ্টি অনেকে বেশ উপভোগই করেছেন। অনেক শিশু এবং স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রী দল বেঁধে বৃষ্টিতে ভিজতেও দেখা গেছে। বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকায় জলাবদ্ধতার ভোগান্তি ছিল না বললেই চলে।
×