ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ঝালকাঠিতে ধর্ষণ মামলায় বাবা জেলহাজতে

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ঝালকাঠিতে ধর্ষণ মামলায় বাবা জেলহাজতে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি, ২৫ সেপ্টেম্বর ॥ সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের দশনাকান্দা গ্রামের বাবুল ফকিরের বিরুদ্ধে আপন কন্যাসন্তান ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এই ভিকটিম বাদী হয়ে পিতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ভিকটিমকে বুধবার মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে এবং বাবুল ফকিরকে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। মঙ্গলবার জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোঃ আলতাফ হোসেন কৌশলে বাবুল ফকিরকে অফিসে ডেকে এনে ঝালকাঠি থানা পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়। ভিকটিম প্রাথমিক পর্যায়ে মহিলা অধিদফতরে পিতার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ করেছেন এবং তার নিরাপত্তা চেয়ে আবেদনও করেছিলেন। অভিযোগে প্রকাশ বাবুল ফকিরের কন্যা ভিকটিমকে গত ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি ৬ষ্ঠ শ্রেণীয় পড়া অবস্থায় বাজারে নিয়ে আসার পথে রাতে একটি ব্রিজের ওপর বসে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বাবুল ফকিরের শ্যালকরা বাবুল ফকিরকে মারধর করে এলাকা ছাড়া করে। বাবুল ফকির কিছুদিন ঢাকায় অবস্থান করার পরে পুনরায় গ্রামের বাড়িতে আসে। সে তার এই কন্যাকে পার্শ্বর্বর্তী গ্রামে বিয়ে দেয় এবং বিয়ের ১ মাস পরে বাবুল ফকির তার কন্যাকে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ৮০ হাজার টাকা খোরপোষ নিয়ে এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয়। কিছুদিন পরে বাড়িতে এসে গত ১০ সেপ্টেম্বর তাকে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং ভিকটিমের চিৎকার দিলে বাবুল ফকিরের স্ত্রী ও বাড়ির লোকজন ছুটে আসে। বাবুল ফকির এই ঘটনার পর থেকে ঝালকাঠির মধ্যে অবস্থান করলেও তার পরিবারকে জানানো হয়েছে সে ঢাকায় আছে। ভিকটিম মহিলা অধিদফতরে দাবি করেছে তার পরিবারে মা রয়েছে এবং তার বাবার প্রথম বিবাহকালীন তিন পুত্র রয়েছে। এই ঘটনার পর তার ১ম পক্ষের পুত্রদের কারণে সে বাড়িতে যেতে পারছে না এবং মহিলা অধিদফতরের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিল।
×