ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ন্যায়বিচার পরিপন্থী ঘৃণ্য আইন

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ন্যায়বিচার পরিপন্থী ঘৃণ্য আইন

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ইংল্যান্ডে প্রণীত ঞযব উবভবহপব ড়ভ জবধষস ঈড়হংড়ষরফধঃরড়হ অপঃ, ১৯১৪, আমেরিকায় প্রণীত ওহঃবৎহধষ ঝবপঁৎরঃু অপঃ, ১৯৫০, ভারতের ঞঅউঅ সহ বহু ব্লাক ল’ পৃথিবীতে পাস হয়েছিল। তবে বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গের খুনী কুখ্যাত মোশতাকের জারি করা এবং জিয়াউর রহমান কর্তৃক বৈধতাপ্রাপ্ত কুখ্যাত আইনÑ ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স (ওহফবসহরঃু ঙৎফরহধহপব)-এর মতো জঘন্য ন্যক্কারজনক ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিতকরণ আইন পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি আর সৃষ্টি হয়নি। যে কোন হত্যাকা- মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং সর্বোচ্চ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতির পিতা, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীনতার স্রষ্টা ও কারিগর। বঙ্গবন্ধুর ৫৫ বছরের জীবনের ১৩ বছরের বেশি সময় জেলে কেটেছে গণমানুষের মুক্তির জন্য। দুর্বিষহ বন্দী জীবন কাটিয়েছেন তিনি বাংলার মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার আদায়ের জন্য এবং বাংলাদেশের গণমানুষের মুখে হাসি ফুটাতে আজীবন সংগ্রাম, আন্দোলন করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী করে দরজার সামনে কবর খুঁড়ে রেখেছিল পাকিস্তানী নরপিশাচ শাসকচক্র। কিন্তু তারা তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি। অথচ বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করল স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু ও সা¤্রাজ্যবাদী আন্তর্জাতিক শক্তির সাহায্য ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মোশতাক, ডালিম, ফারুক মীরজাফররা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে সামরিক অভ্যুত্থান (গরষরঃধৎু ওহংঁৎৎবপঃরড়হ) ঘটিয়ে। এ এক চরম ঘৃণা ও লজ্জা বাঙালী জাতির জন্য। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট থেকে ৬ নবেম্বর ১৯৭৫ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের মীরজাফর খন্দকার মোশতাক অঘোষিতভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ঘৃণ্য মোশতাক সরকার ছিল সেনাপুষ্ট। ১৯৭৫-এর ইতিহাস পড়লে জানা যায় সব ঘটনা যদিও ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টায় রত ছিল বিএনপি সরকার ও তাদের দোসররা। সত্য কখনও লুকানো যায় না, আজ হোক কাল হোক তা প্রকাশ পাবেই। তাই তো আজ জাতির কাছে- বিশ্বের কাছে পরিষ্কার হচ্ছে, সব ঘটনা এবং ইতিহাস তার নিজ গতিতে চলছে। ১৯৭৫-এর ২৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঠিক ৯ দিন পর সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থাকাকালীন ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ইতিহাস ধীকৃত স্বার্থান্বেষী খন্দকার মোশতাক বাংলাদেশ তথা বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য কুখ্যাত কালো আইন ওহফবসহরঃু ঙৎফরহধহপব জারি করেন। ওহফবসহরঃু ঙৎফরহধহপব (দায়মুক্তি অধ্যাদেশ)-টি ১৯৭৫ সালের ৫০ নং অধ্যাদেশ যা অধ্যাদেশ নং ৫০ নামে অভিহিত ছিল। এ অধ্যাদেশটির দুটো ভাগ রয়েছে। প্রথম (১ম) ভাগে বলা হয়েছে- ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বলবৎ আইনের পরিপন্থী যা কিছুই ঘটে থাকুক না কেন, এ ব্যাপারে সুপ্রীমকোর্টসহ কোন আদালতে বা ট্রাইব্যুনালে মামলা, অভিযোগ দায়ের বা কোন আইনী প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ভাগে (২য়) বলা হয়েছে- রাষ্ট্রপতি উল্লিখিত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে যাদের প্রত্যয়ন করবেন তাদের দায়মুক্তি দেয়া হলো। উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল তাং পর্যন্ত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সসহ ৪ বছরে সামরিক আইনের অধীনে সব অর্ডিন্যান্স, ডিকলারেশনকে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সাংবিধানিক বৈধতা দান করেন। আইনের ছাত্রদের অবশ্যই জানা আছে, যে কোন দেশের সংবিধানকে বলা হয়- ঝঁঢ়ৎবসব খধি ড়ভ ঃযব খধহফ (দেশের সর্বোচ্চ আইন)। সুতরাং আমাদের দেশের সংবিধানও আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আইন। সহজ কথা নয়, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর চার লাখ মা-বোনের ইজ্জত-সম্ভ্রমের বিনিময়ে যে দেশ- বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, স্বাধীন জাতীয় পতাকা আর রাষ্ট্রপরিচালনার নিয়ম কানুন-আইন সমৃদ্ধ পবিত্র সংবিধান আমরা পেয়েছি- সে পবিত্র সংবিধানের পবিত্রতা নষ্ট করল জিয়াউর রহমান গং সংবিধান আইন, ১৯৭৯ (৫ম সংশোধনী) সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে। ওই ৫ম সংশোধনীতে বলা হয়েছে- ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল তারিখের (উভয় দিনসহ) মধ্যে প্রণীত সকল ফরমান, ফরমান আদেশ, সামরিক আইন, প্রবিধান, সামরিক আইন আদেশ ও অন্যান্য আইন এবং ওই মেয়াদের মধ্যে অনুরূপ কোন ফরমান দ্বারা এই সংবিধানের যে সকল সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন ও বিলোপ সাধন করা হয়েছে এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করতে গিয়ে কোন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত আদেশ, কৃতকাজকর্ম, গৃহীত ব্যবস্থা বা কার্যধারাসমূহ বৈধভাবে প্রণীত হয়েছে বলে ঘোষিত হলো এবং তদসম্পর্কে কোন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা কর্তৃপক্ষের নিকট কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। কি এক সাংঘাতিক ব্যাপার! বীভৎস স্বৈরাচারী অমানবিক, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কথাবার্তা এ ৫ম সংশোধনীতে লেখা হয়েছিল, তা যে কোন বোধসম্পন্ন মানুষ পড়লেই বুঝতে পারবেন। রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হয়ে খুনীদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই দিল না, কোর্ট-কাচারিতে আনতে দিল না, আইনের আওতাধীন করল না, বিচার করল না, শাস্তি দিল না বরং বিভিন্ন দূতাবাসসহ বিদেশে উচ্চ সম্মান-মর্যাদার আসন করে দিল। এরশাদ ও খালেদা জিয়াও তাদের শাসন আমলে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করলেন না। খালেদা জিয়া বিচার করা তো দূরের কথা আরও এক ধাপ এগিয়ে তাদের কাউকে রাষ্ট্রীয় কার্যে পুরস্কৃত করলেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন, ভারতের মহাত্মা গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বন্দর নায়েক, পাকিস্তান পিপলস পার্টি প্রধান বেনজীর ভুট্টোকে গুলি করে হত্যা করেছে হত্যাকারীরা। কিন্তু এসব দেশে এমন কোন আইন পাস হয়নি যাতে করে খুনীদের দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। আবার, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর নামগন্ধ এদেশের মাটিতে রাখতে দিতে চায়নি খুনীচক্র ও তাদের সহায়তাকারী দল যার প্রমাণ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যা চেষ্টা (অঃঃবসঢ়ঃ ঃড় সঁৎফবৎ) করেছে তারা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্য আর শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার উদ্দেশ্য একই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে পাপিষ্ঠ নরাধমরা কিন্তু তাঁর স্বপ্ন আদর্শ, চেতনাকে ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না। যার প্রমাণ আজকের বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫-এ ট্রায়াল ও শাস্তির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পাবার অধিকার, অনুচ্ছেদ ৩১-এ আইনের ‘প্রটেকশন’ লাভের অধিকার, অনুচ্ছেদ ২৭-এ ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’র অধিকার সংরক্ষিত হয়েছে। মানবাধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক দলিল যথা-টউঐজ, ১৯৪৮ এবং ওঈঊঝঈজ, ১৯৬৬-এর অনুচ্ছেদ যথাক্রমে ২৫(২) এবং ৯-এ সামাজিক নিরাপত্তা লাভের অধিকার সংরক্ষিত হয়েছে। উল্লেখ্য, ওঈঈচজ, ১৯৬৬-এর অনু: ১৪ তে নিরপেক্ষ বিচার পাবার অধিকার এবং ঞযব ঊঁৎড়ঢ়বধহ ঈড়হাবহঃরড়হ ভড়ৎ ঃযব চৎড়ঃবপঃরড়হ ড়ভ ঐঁসধহ জরমযঃং ধহফ ঋঁহফধসবহঃধষ ঋৎববফড়সং, ১৯৫৩-এর অনু: ৬-এ ন্যায়বিচার পাবার অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। আবার ‘স্বাভাবিক ন্যায়বিচার নীতি’ মূলত নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা, সঠিকতার ব্যবহার এবং ক্ষমতার দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। আর স্বাভাবিক আইনের ভিত্তিতে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার আইনগত অধিকারের সুযোগ দিতে হবে এবং এটিই ন্যায়পরতার মূল লক্ষ্য বলে অভিহিত করেছেন প্রশাসনিক আইনের লেখকগণ। ওঈঈচজ ১৯৬৬-এর ৩য় পরিচ্ছেদে বলা হয়েছেÑ এ চুক্তির কোনকিছুর অজুহাতে কোন রাষ্ট্রপক্ষ মৃত্যুদ- বিলম্বিত করতে অথবা ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। আমাদের ইচঈ (ইধহমষধফবংয চবহধষ ঈড়ফব-১৮৬০)-এর ১০২ নং ধারায় খুনের শাস্তি মৃত্যুদ-। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সটি আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, স্বাভাবিক ন্যায়বিচার, মানবতা, মনুষ্যত্ব এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে মানবাধিকারের লঙ্ঘন। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ১৯৯৬ সালের ১২ নবেম্বর ৭ম জাতীয় সংসদে ‘ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স’ বাতিল করেন। তৎকালীন শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়ের করলেন, বিচার হলো- ১২ জন আসামির মৃত্যুদ- ঘোষিত হলো। ২০১০-এর ২৭ জানুয়ারি ওই ১২ জনের মধ্যে ৫ জনের ফাঁসি কর্যকর হয়েছে। বাকিরা বিদেশে এ্যাসাইলামে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক আইনবিদ জে জি স্টার্ক বলেছেন, বহিঃসমর্পণের ২টি কারণ রয়েছে- ১.সভ্য জাতিসমূহের প্রত্যাশা হচ্ছে যে, কোন অপরাধীকে শাস্তিবিহীন যেতে দেয়া উচিত নয়। ২. যে দেশে অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে সেই দেশই হবে অপরাধীর বিচার হওয়ার প্রকৃত স্থান। কাজেই বিদেশে খুনীরা আশ্রয় নিয়ে থাকবে আর অপরাধীর শাস্তি কার্যকর হতে পারবে না, আরামে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ঘুমাবে- এমনটি হতে পারে না এবং তা আন্তর্জাতিক আইনেরও লঙ্ঘন। কোন জাতি সভ্য হলে, পৃথিবী সভ্য হলে অবশ্যই খুনের অপরাধীর বিচারে বাধা দেবে না, দিতে পারে না। সাধারণ একটি ধারণা রয়েছে যে, খুনী সে যদি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও হয়ে থাকে তাহলে তার বহিঃসমর্পণ (ঊীঃৎধফরঃরড়হ) আন্তর্জাতিক আইনে সিদ্ধ নয়। বিষয়টি হল ‘খুন’ (গঁৎফবৎ), সন্ত্রাসবাদ বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ যেমন রাজনৈতিক অপরাধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয়। তেমনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিশেষ করে রাষ্ট্রনায়কদের হত্যাও রাজনৈতিক অপরাধ হিসেবে আধুনিক আন্তর্জাতিক আইনে গণ্য হয় না। ১৯৮৮ সালে ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত বহিঃসমর্পণ চুক্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, রাজনৈতিক হত্যাও জঘন্যতম অপরাধ, তাই এ অপরাধও বহিঃসমর্পণযোগ্য অপরাধ (ঊীঃৎধফরঃধনষব ঙভভবহপব)। সুতরাং আন্তর্জাতিক আইনের মৌল কোন যুক্তিই ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট কিংবা অন্য কোন সময় এর কোন হত্যাকারী, খুনী ও খুনীদের ষড়যন্ত্রকারীদের দ-াদেশ কার্যকর হতে বাধা দেয় না। যেহেতু আন্তর্জাতিক আইনের বস্তুগত (গধঃবৎরধষ) উৎস সেহেতু ঊীঃৎধফরঃরড়হ ঞৎবধঃু-এর অনুপস্থিতিতে অপরাধীকে বহিঃসমর্পণ করতে ও শাস্তি কার্যকর করতে এবং মৃত্যুদ- বিলম্বিত না করতে কিংবা ঠেকিয়ে না রাখতে বিশ^জনমত সৃষ্টি নিতান্ত প্রয়োজন। অপরাধীদের শাস্তি কার্যকর হলে বঙ্গবন্ধুর ও তাঁর নিহত স্বজনদের আত্মার শান্তি আসবে এবং বাংলাদেশসহ সভ্যদেশ ও জাতিসমূহের প্রত্যাশা- কোন অপরাধীকেই শাস্তিবিহীন যেতে দেয়া যায় না- পূরণ হবে, মানুষ আইন ও শাসনকার্যকে শ্রদ্ধা করবে, আইন মেনে চলবে- শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হবে। লেখক : ডিন, আইন অনুষদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
×